খাদেমুল ইসলাম ; বয়োবৃদ্ধ রোগাক্রান্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ দেলোয়ার হোসেনের একটি দাবী, তার বাড়ী সংলগ্ন আবাদী জমিতে দেওয়া মাটির স্তুপ সড়িয়ে ফেলা হোক অথবা সমতল করে দেওয়া হোক। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, তার ঐ সামান্য ফসলি জমিতে নদী খননের বিশাল আকারের মাটির স্তুপ ফেলানো হয়েছে তার আবাদী জমিতে। এতে ঐ জমিতে এখন আর কোনো ফসল উৎপাদন সম্ভব হবে না। আগে ঐ সব জমিতে ধান, পাট, আখ, ভুট্টাসহ অন্যান্য ফসল উৎপাদন হতো। যা দিয়ে পরিবার পরিজন ভরণ পোষণ হতো। সাধুরপাড়া ইউনিয়নের মদনের চর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ মোঃ দেলোয়ার হোসেন এ সাংবাদিককে জানান, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে সাড়ে ৯ মাস যুদ্ধ করেছি, স্বাধীন করেছি এ দেশকে। পরবর্তী জীবনে তিনি পারিবারিকভাবে পাওয়া পৈত্রিক ১০ বিঘা জমিতে নিজে আবাদ করে ৭ পুত্র ও ৪ কন্যা এবং তারা স্বামী স্ত্রী জীবিকা নির্বাহ করে এসেছেন। পুত্র কন্যাদের পড়াশোনা করিয়েছেন। কোনো রকম সংসার চালানো হত ঐসব আবাদী জমির ফসল দিয়ে। বর্তমানে সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে পুরনো ব্রহ্মপুত্র নদে নাব্যতা সংকটে খনন কাজ শুরু করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে নদী খনন কাজে আমার কোন আপত্তি বা বাধা নেই, কিন্তু আমার বাড়ীর পশ্চিমে ১০০ মিটার দূরে ড্রেজিংয়ে কাটা মাটি আমার ফসলি জমির উপর ফেলানো হয়েছে। যার কারণে এসব জমিতে আর কোন ফসল উৎপাদন সম্ভব নয়। ফসল উৎপাদন না হলে কী করে এত বড় সংসার চালানো সম্ভব। তিনি আরো জানান, সাধুরপাড়া মৌজার ৮নং সিটে ৫ বিঘা জমিতে জমানো বালু হয় সড়ানো হোক বা তা সমতল করে দেওয়া হোক, যাতে করে সেখানে আমি ফসল ফলাতে পারি। আমার ১০ বিঘা জমির মধ্যে ৫ বিঘা জমি ইতিপূর্বে নদীতে বিলীন হয়েছে। অবশিষ্ট ৫ বিঘা জমির উপর বালুর স্তুপ করে রাখা হয়েছে। এই জমির ফসলাদিতেই আমার পুরো সংসার চলতো কোন রকমে। আমি সরকারের কাছে দাবী জানাচ্ছি, আমার ফসলি জমির উপর জমানো বালি সরানো হোক বা সমতল করে দেওয়া হোক।
বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেনের আকুতি জমির মাটি সরিয়ে ফেলুন এখন আমি কি করে সংসার চালাবো
![](https://ajkerjamalpur.com/wp-content/uploads/2025/02/1-17.jpg)