নিজস্ব প্রতিবেদক : জামালপুর জেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমেদ সবাইকে গাছ লাগানোর আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, প্রকৃতি, পরিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র্য রক্ষায় বৃক্ষ রোপণের কোন বিকল্প নেই। বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে। সবাইকে অন্তত একটি করে হলেও যার যার বাড়ির আঙিনায় গাছ লাগাতে হবে। গাছ হলো পাখিদের অভয়ারণ্য। গাছ আমাদের অক্সিজেন দেয়। শ^াসপ্রশ^াসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
জলবায়ু পরিবর্তন ও তীব্র তাপদাহের কারণে পরিবেশ বিপর্যয় রক্ষায় জামালপুর জেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমেদ তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে গতকাল রবিবার সকালে জামালপুর পৌর কবরস্থানে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে কবরস্থানের বিভিন্ন স্থানে শতাধিক ফলজ ও বনজ গাছের চারা রোপণ করেন।
বিএনপিনেতা শামীম আহমেদ আরও বলেন, আমি সব সময় চেষ্টা করি আমার সাধ্যমতো পরিবেশ রক্ষা করার জন্য। জামালপুর জেলায় আমি বৃক্ষ রোপণের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছি। কিন্তু আমার আক্ষেপটা হচ্ছে, আমি প্রতিবার এই পৌর কবরস্থানসহ জামালপুর জেলার আনাচে কানাচে অনেক গাছ লাগাই। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যিনিই জামালপুর পৌরসভার মেয়র হন, তিনি দায়িত্ব নিয়েই হুটহাট করে দরপত্রের মাধ্যমে গাছগুলো বিক্রি করে দেন। এতে করে পরিবেশের অনেক ক্ষতি হয়।
শামীম আহমেদ বলেন, গাছ যদি বেশি বেশি কাটা হয় তাহলে পরিবেশ তো রক্ষা হবে না। পরিবেশ আরও নষ্ট হবে, দূষণ হবে। পাখিরা কোথায় বাস করবে। আমরা কিভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিবো। এই কথাটা সবার জরুরি চিন্তা করা দরকার। জামালপুরবাসীকে উদাত্ত আহ্বান জানাবো আপনারা প্রতিজনে অন্তত একটা করে হলেও যারযার বাড়ির আঙিনায় গাছ লাগাবেন। আপনারা বেশি বেশি গাছ লাগাবেন।
বৃক্ষরোপণ শেষে দেশনেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তির জন্য, আগামী দিনের দেশনায়ক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির কোষাধ্যক্ষ এম. রশিদুজ্জামান মিল্লাতের প্রয়াত মায়ের আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়ায় অংশ নেন বিএনপিনেতা শামীম আহমেদ ও অন্যান্য নেতাকর্মীবৃন্দ। দোয়া পরিচালনা করেন জামালপুর পৌর কবরস্থানের খাদেম মো. আমির হোসেন।
বিএনপিনেতা শামীম আহমেদের উদ্যোগে আয়োজিত এই বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি ও দোয়ায় অংশ নেন মো. মোশারফ হোসেন, শাহাদাৎ হোসেন সাগর, খায়রুল ইসলাম লিয়ন, শেখ ফরিদ মামুন, ফিরোজ মিয়া, মো. আক্তারুজ্জামান, আশিক রায়হান পারভেজ, জাহাঙ্গীর আলম, আব্দুল কাদের জুয়েল, গোলাম রব্বানী জনি, ওয়াজাদুল ইসলাম সুমন, আরিফুল ইসলাম রাজীব, জয়নাল আবেদীন জয়, ওয়ালিদ অপু, শফিকুল ইসলাম শফিক, সোহানুর ইসলাম সোহাগ, নয়ন সরকার, মোর্শেদ আলম খান, সাইফুল ইসলাম রবিন, বুলবুল আহমেদ হৃদয়, ইফতেখার মুরাদ, নূর হাসনাত আকাশ, নবাব, সিরাজুল ইসলাম, আসলামি, হাবিব, ইফতিয়ার হোসেন সাগর, রাজিবুল ইসলাম পিন্টু, ময়না ও রকি প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।