শেরপুর সংবাদদাতা ; পদ্ম বিলে পরিণত হয়েছে শেরপুরের বৈশা বিল। গোলাপি রঙের পদ্ম ফুলে ছেয়ে যাওয়া এই বিলের অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিনই দুর-দুরন্ত থেকে ছুটে আসছেন অসংখ্য মানুষ। এই বিল ঘিরে এলাকায় তৈরি হয়েছে এক আনন্দের পরিবেশ। জেল শহর থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার দূরে শ্রীবরদী উপজেলার আবুয়ারপাড়া গ্রামে বৈশা বিলের অবস্থান। এক সময় বর্ষা মৌসুমে বিলটি পানিতে ভরা থাকতো। মাছও পাওয়া যেত প্রচুর। তবে ধীরে ধীরে বিলের পানি কমেছে। গত চার-পাঁচ বছর ধরে অল্প অল্প করে এই বিলে পদ্ম ফুল ফুটছে। তবে, এই বছর পুরো বিল জুড়ে ফুটেছে গোলাপি রঙের অসংখ্য পদ্ম ফুল। বিল জুড়ে তৈরি হয়েছে পদ্মের বাহার। জলাভূমিতে প্রস্ফুটিত ফুলগুলো এখন সৌন্দর্যের অপার মোহ ছড়িয়ে দিচ্ছে প্রকৃতিতে। সরেজমিনে দেখা যায়, দূরদূরান্ত থেকে আসা প্রকৃতি প্রেমীরা বিলের শান্ত পানির বুকে প্রস্ফুটিত পদ্মফুলের মনকাড়া সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। কেউ ছবি তুলছেন, কেউ আবার ছোট নৌকায় ঘুরে ঘুরে উপভোগ করছেন এই অপরূপ দৃশ্য। বিলের পানিতে দেখা যায় শিশুদের পদ্ম তুলতে, তাদের উচ্ছ্বাসে যোগ হয়েছে নতুন রঙ। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, পদ্ম ফুল হচ্ছে এক ধরনের জলজ উদ্ভিদ। এই ফুলের ঔষধি গুণাগুণ আছে। কিন্তু কালের বিবর্তনে অধিকাংশ বিল ও জলাশয় ভরাটের কারণে পদ্ম ফুল এখন আর খুব একটা দেখা যায় না। তাই পানির উৎস ঠিক রেখে বিলগুলো সংরক্ষণ করা জরুরি, যাতে পদ্ম আর শাপলার মতো জলজ উদ্ভিদগুলো প্রকৃতিতে টিকে থাকতে পারে। শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জাবের আহমেদ বলেন, এক সময় আমাদের বিভিন্ন নদী-নালা, খাল-বিলজুড়ে পদ্মফুলের মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য দেখা যেত। তবে সময়ের পরিবর্তনে এবং বিল ও জলাশয় ভরাটের ফলে এখন আর সেভাবে পদ্মফুল চোখে পড়ে না। অনেকেই বলছেন, এই নয়নাভিরাম ফুল যেন আজ বিলুপ্তির পথে। তাই বৈশা বিলে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, রাস্তা সংস্কারসহ প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, যেন মানুষ প্রকৃতির এই অনন্য সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন।
বৈশা বিলে গোলাপি পদ্মের বাহার
