ব্রহ্মপুত্রের ভাঙ্গনে এক সপ্তাহে ২৮ বাড়ী বিলীন

খাদেমুল ইসলাম ; জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ৬ ও ৭নং ওয়ার্ডটি ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গনে বিলীন হবার উপক্রম হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদটি গত ১৫/২০ বছরে পূর্ব থেকে অনবরত ভেঙ্গে এসে দেওয়ানগঞ্জ সদর ইউনিয়নের তিলকপুর গ্রামে এসে পৌচ্ছে। এই গ্রামের বেশির ভাগ এলাকার বাড়ী ঘর ও জমি জমা নদের ভাঙ্গনে বিলীন হয়েছে। ভূমিহীন ও গৃহহীন হয়েছে শতশত মানুষ। গত এক সপ্তাহে তিলকপুর গ্রামের ২৮টি বসত ভিটা ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গনে নিঃশেষ হয়েছে। ১৫ জুলাই সোমবার নয়াদিগন্ত প্রতিনিধি সহ সাংবাদিকরা ভাঙ্গন এলাকায় পরির্দশনে গেলে সেখানে শতশত নারী পুরুষ জড়ো হয়ে তাদের দুঃখের কথা শোনান এবং জরুরী ভিত্তিতে নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধের জন্য সরকারের নিকট আবেদন জানান। এলাকাবাসীদের মধ্যে স্থানীয় সমাজসেবক জবদুল্লাহ, সুন্দর, বাবুল, নবি শেখ, কাশেম, হাসেম, মজনু, আফছার, বোরহান, কুরবান, ছাত্তার, চাঁন মিয়া, সোনা মিয়া, আক্কাছ, হামেদ আলী, জালাল মিয়া, ফয়জুদ্দিন, আলেফা, আবু, মন্টু, লাল মিয়া সহ শতশত নারী পুরুষ তাদের করুণ কাহিনী সাংবাদিকদের শোনান। তারা বলেন, এখান থেকে নদীর দুরত্ব ছিল ১০/১২ কিমি পূর্বে। সেখান থেকে ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে দেওয়ানগঞ্জ ইউনিয়নের ৬ ও ৭নং ওয়ার্ড প্রায় পুরোটা গ্রাস করতে চলেছে। তিলকপুর বাজার, কওমী মাদাসা, হাফেজিয়া মাদ্রাসা, ৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫টি মসজিদ, কবরস্থান, বিভিন্ন কাঁচা পাকা সড়ক সহ অনেক স্থাপনা আজ চরম হুমকির মুখে। ইতিমধ্যে কাউনের চর ও চর তিলকপুর গ্রাম দুটি প্রায় সম্পুর্ন বিলীন। গত এক সপ্তাহে মধু, আবু, মন্টু, জাহাঙ্গীর, ছলেম, ছালাম, লাল মিয়া, মিষ্টার, আলতাব, গফুর, মোহাম্মদ, আহম্মদ সহ অন্ততঃ ২৮ পরিবারের বাড়ী ঘর ভেঙ্গে গেছে ব্রহ্মপুত্র নদের তীব্র ¯্রােতে। এক উত্তরে তারা নয়াদিগন্তকে জানান, তারা এর আগে বিভিন্ন বরাবর আবেদন নিবেদন করেছেন। ইতিপূর্বে স্থানীয় এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, পাউবো’র কর্মকর্তা সহ অনেকে এসে সবকিছু দেখে ভাঙ্গন প্রতিরোধের আশ^াস দিয়েছেন। কিন্তু আজও ভাঙ্গন রোধের কাজ শুরু হয়নি। আমরা নিজেরা স্ব উদ্যোগে বাঁশ কেটে নদের পাড়ে ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা করে এসেছি গত ক’ বছর ধরে। কিন্তু তা কোনো কাজেই লাগেনি। এলাকাবাসী জরুরী ভিত্তিতে তিলকপুর তথা দেওয়ানগঞ্জ ইউনিয়নকে রক্ষায় নদী ভাঙ্গন রোধে কাজ শুরুর জন্য সরকারের কাছে দাবী জানিয়েছেন।