ঘরের মাঠে টেস্টে লম্বা সময় ধরে দাপুটে পারফরম্যান্স ধরে রেখেছে ভারত। এর মধ্যে গত দুই দশকে নিজেদের মাঠে তারা কোনো টেস্ট সিরিজ হারেনি। রোহিত-কোহলিদের সেই রেকর্ড হয়তো এবার ভাঙতে চলেছে। প্রথম টেস্টে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারের পর দ্বিতীয় টেস্টেও চালকের আসনে রয়েছে নিউজিল্যান্ড। আজ ভারতকে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৫৬ রানে গুটিয়ে দিয়ে তারা ২৩ বছর আগের তিক্ত স্মৃতি ফিরিয়েছে।
কিউইদের বিপক্ষে পরপর দুই টেস্টে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১০০–রানের বেশি ব্যবধানে পিছিয়ে পড়তে হয়েছে রোহিত শর্মাদের। যা গত দুই দশকে ভারত ঘরের মাঠে দেখেনি। বেঙ্গালুরু টেস্টের প্রথম ইনিংসে ঘরের মাঠের সর্বনিম্ন ৪৬ রানে অলআউট হওয়ার পর নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ৪০২ রান তোলে। এতে ৩৫৬ রানের বড় ব্যবধানে পিছিয়ে যায় রোহিত-পান্তরা। শেষমেশ সেই টেস্টে ৮ উইকেটে হেরে যায় ভারত।
এবার পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট এসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে চলছে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। সিরিজ বাঁচানোর লড়াইয়ে নেমে ভারতের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ২৫৯ রান তোলে কিউইরা। সেই রানের জবাবে টিম ইন্ডিয়া তাদের প্রথম ইনিংসে ১৫৬ রানে অলআউট হয়ে যায়। ফলে প্রথম ইনিংসে তারা পিছিয়ে রয়েছে ১০৩ রানের বড়সড় ব্যবধানে। ভারতের বিপক্ষে সিরিজের দুই টেস্টে ১০০–রানের বেশি লিড নেওয়ার রেকর্ড ছিল সর্বশেষ ২০০১ সালে।
ওই সময় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে টেস্টে প্রথম ইনিংসে ভারত পিছিয়ে পড়ে ১৭৩ রানে। পরে কলকাতায় ইডেন টেস্টের প্রথম ইনিংসেও ভারত পিছিয়ে পড়ে ২৭৪ রানে। অর্থাৎ, ২৩ বছর আগের হতাশাজনক ছবি ফিরে এলো এবার। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ইডেনে ফলো-অন করা সত্ত্বেও ভারত অস্ট্রেলিয়াকে পরাজিত করে। এবার পুনে টেস্টে রোহিতরা তেমন কিছু করতে পারেন কি না সেটাই দেখার বিষয়। তেমন কিছু না হলে দীর্ঘ এক যুগ পর তারা ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ হারবে।
আজ দ্বিতীয় দিন শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৮ রান তুলেছে কিউইরা। তাদের লিড দাঁড়াল ৩০১ রানে। সফরকারীদের পাঁচ উইকেটের চারটিই গেছে আগের ইনিংসে সাত উইকেট নেওয়া ওয়াশিংটন সুন্দরের দখলে। কিউই দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৩৩ বলে ৮৬ রানের ইনিংস খেলেছেন অধিনায়ক টম লাথাম।