অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নদীয়া জেলা থেকে চার বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া রাজ্যের রাজধানী কলকাতার পার্ক স্ট্রিট থেকে এক বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার পৃথক অভিযান চালিয়ে ওই বাংলাদেশিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দেশটির বার্তা সংস্থা আইএএনএসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জে গ্রেপ্তারকৃত চার বাংলাদেশি হলেন সুমি আক্তার, ইমান বিশ্বাস, শংকর বিশ্বাস ও রুপকুমার বিশ্বাস। রাজ্য পুলিশের সূত্র বলছে, অভিযুক্তরা বাংলাদেশের চারটি ভিন্ন এলাকার বাসিন্দা হলেও তারা অবৈধভাবে জেলার উন্মুক্ত সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। পরে ভারতীয় নাগরিক পরিচয়ে মাজদিয়ার একটি বাড়িতে বসবাস শুরু করেন।
আইএএনএসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার সকালের দিকে কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে চার বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করে। পরে ওই বাংলাদেশি নাগরিকদের নদীয়ার একটি জেলা আদালতে তোলা হয়। আদালত শুনানি শেষে বাংলাদেশিদের পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অবৈধভাবে ভারতে পাড়ি জমানো এবং সেখানে বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাসের কারণ জানতে পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এই বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশে সহায়তা করা স্থানীয় বাসিন্দাদের বিষয়েও তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ বলেছে, ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ওই বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে ফরেনার্স অ্যাক্টের বিভিন্ন ধারায় মামলা করা হয়েছে।
এদিকে, পৃথক এক অভিযানে শনিবার কলকাতার পার্ক স্ট্রিট থানা পুলিশ সেলিম মাতব্বর ওরফে সফিক সরদার নামের এক বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি কলকাতায় বসবাস এবং ভারতীয় ভুয়া পাসপোর্ট নিয়ে শহরের একটি স্থানীয় হোটেলে কাজ করছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অভিযুক্ত এই বাংলাদেশি নাগরিক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সাবেক কর্মী বলে জানিয়েছেন। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে সেলিম মাতব্বর বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিক কারণে দেশ ছেড়ে তিনি ভারতে পালিয়েছিলেন।