ভারতের মধ্যপ্রদেশের গুনাতে একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে বিমানটির ভেতর থাকা নারী পাইলট আহত হয়েছেন।
বুধবার (৬ মার্চ) বিমানটি গুনা থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরের নিমুচ থেকে উড্ডয়ন করেছিল। যখন বিমানটি সোজাসুজি আসছিল তখন এটির ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দেয়। এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ধারণা করা হচ্ছে, ইঞ্জিনের ত্রুটির কারণে এটি বিধ্বস্ত হয়েছে।
ওই কর্মকর্তা আরও জানিয়েছিলেন, বিমানটি চালাচ্ছিলেন চিমক অ্যাভিয়েশন অ্যাকাডেমির প্রশিক্ষণার্থী পাইলট।
ইঞ্জিনে ত্রুটি দেখা দেওয়ার পর তিনি গুনা বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের জন্য অনুমতি চান। কিন্তু অবতরণের সময় রানওয়ের বাইরে এটি বিধ্বস্ত হয়।
আহত ওই পাইলটকে গুনার বিভাগীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
গুনা পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর চঞ্জল তিওয়ারি বার্তাসংস্থা এএনআইকে বলেছেন, “ত্রুটি দেখা দেওয়ার পর নিমুচ থেকে ধানার দিকে আসা একটি প্রশিক্ষণ বিমান জরুরি অবতরণ করে। ওই সময় পাইলট বিমানের নিয়ন্ত্রণ হারান। প্রশিক্ষণার্থী ওই পাইলট আহত হয়েছেন এবং তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”
গতকাল মঙ্গলবার বিহারের গায়াতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। ওই সময় বিমানটিতে নারীসহ দুইজন পাইলট ছিলেন। তবে দুজনই সামান্য আহত হন এবং বেঁচে যান।
ঘটনাটি ঘটে কাঞ্চনপুর নামের একটি গ্রামে। ওই গ্রামের বাসিন্দার জানিয়েছেন, বিমানটি কৃষি জমির ওপর আছড়ে পড়ে। পরে তারা দ্রুত সেখানে গিয়ে দেখতে পান বিমানে দুজন পাইলট রয়েছেন। পুলিশকে খবর দেওয়ার আগে তারাই পাইলটদের উদ্ধার করেন।
সূত্র: এনডিটিভি