রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের প্রতি বর্ণবাদী আচরণের ঘটনা নতুন নয়। তবে এবার তার জার্সি পরায় এক শিশু ভক্তকে গালিগালাজ ও মেরে ফেলার হুমকির মুখোমুখি হতে হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে আরেক স্প্যানিশ ক্লাব অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের এক সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বর্ণবাদী ওই ঘটনা এখনকার নয়, মাদ্রিদ ডার্বিতে ২৪ সেপ্টেম্বর মুখোমুখি হয়েছিল রিয়াল ও অ্যাতলেটিকো। ওই ম্যাচের আগমুহূর্তে অনাকাঙ্ক্ষিত ওই ঘটনা ঘটেছিল। এই তথ্য জানিয়েছে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা। মাদ্রিদের মেট্রোপলিটন স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরুর আগে ভিনিসিয়ুসের আট বছর বয়সী মেয়ে ভক্ত ও তার হাত ধরে থাকা আত্মীয় হেনস্থার শিকার হন। প্রথমে তাকে গালিগালাজ করার পর হাতে একাধিকবার আঘাত করারও অভিযোগ রয়েছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে।
মার্কার প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই ঘটনার একপর্যায়ে কয়েকজন অ্যাতলেটিকো ভক্ত এসে অভিযুক্তদের রুখে দিয়ে মাদ্রিদের পুলিশ সদরদপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন। একইসঙ্গে হেনস্থার শিকার ওই দর্শকরা ম্যাচটি মাঠে বসে না দেখে বেরিয়ে যান। মানসিকভাবে তারা ভেঙে পড়েছিল।
অভিযোগ পাওয়ার পর থেকে মাদ্রিদের পুলিশ তদন্ত শুরু করে, ওই ঘটনায় সংবাদকর্মীদের কাছ থেকে একটি ভিডিও উদ্ধার করে তারা। যা দেখে বর্ণবাদী গালিতে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হয়। পরবর্তীতে তাদের ওপর ট্র্যাকিং চালিয়ে বুধবার একজনকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়ানোর অপরাধে তাকে হস্তান্তর করা হয় বিচারিক কর্তৃপক্ষের কাছে।
ভিনি–ভক্তদের যে গালি দেওয়া হয়েছিল
ভুক্তভোগীদের দাবি— গ্যালারিতে হেঁটে যাওয়ার সময় অ্যাতলেটিকোর সামনে আমরা ভিড় দেখতে পাই এবং দাঁড়িয়ে সেদিকে তাকিয়ে থাকি। জন্মের পর থেকেই আমি অ্যাতলেটিকোর সদস্য। একপর্যায়ে তারা আমাদের লক্ষ্য করে ‘ভাইকিংগো’, ‘মানকি’ ও ‘ব্ল্যাক-শিট’ বলে গানের মতো গাইতে থাকে। যদিও শুরুতে আমরা ভাবিনি যে আমাদের দেখে এসব শব্দ শোনানো হচ্ছিল। ভাবিনি যে ছোট মেয়েটিকে দেখে তারা ওই আচরণ করছে।
অভিযোগপত্রে ছোট মেয়েটির আন্টি আরও বলেন, এক সময় একটি ছেলে এসে আমার হাতে আঘাত করে বলতে থাকে, ‘‘এখান থেকে বেরিয়ে যাও, অথবা আমরা মেয়েটিকে মেরে ফেলব।’’ এভাবে আরও অনেক অপমানজনক কথা বলছিল তারা। বিশেষ করে ওই মেয়েটির দিকে আঙুল তুলে বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছিল। অথচ প্রথমবার সে খেলা দেখতে গিয়েছিল, ওই ঘটনার পর থেকে সে ট্রমার ভেতরে আছে।