ভুয়া এনজিও সুশীলন গ্রাহকের টাকা নিয়ে উধাও

নালিতাবাড়ী সংবাদদাতা : শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ঋণ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে সুশীলন নামে এক ভুয়া এনজিও সংস্থা। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিকার চেয়েছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা। জানা গেছে, উপজেলার মরিচপুরান, গোজাকুড়া, আন্ধরুপাড়া ও ভোগাইপারসহ বেশ কিছু এলাকা থেকে জামানত হিসেবে কয়েক লক্ষ টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে ওই এনজিওটি। কিছু দিন ধরে উপজেলার কালিনগর আঁখি কমপ্লেক্সে সুশীলন এনজিও সংস্থা নামে অফিস স্থাপন করে কাবুল খান (৩৬) ও ইমরান হোসেনসহ (৩৯) আরো কয়েকজন ব্যক্তি। পরে ইমরান হোসেন নিজেকে মাঠকর্মী ও কাবুল খানকে ম্যানেজার দাবি করে বিভিন্ন স্থানে সুশীলন এনজিওর নামে টাকা উত্তোলন করেন। তারা সাধারণ মানুষকে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের মাধ্যমে কর্মসংস্থান তৈরি এবং এক লাখ টাকা করে ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে হাতিয়ে নেয় কয়েক লাখ টাকা। প্রতি এলাকা থেকে তারা ৩০ জন করে লোক নিয়ে কমিটি গঠন করেন এবং ফরম বাবদ ২৫০ টাকা গ্রহণ করেন। ওই ৩০ জন লোক থেকে প্রত্যেক এলাকায় ৫ জনকে চূড়ান্তভাবে এক লাখ টাকা করে ঋণ দেওয়ার কথা বলে তাদের কাছ থেকে ১০ হাজার ৫৭০ টাকা করে জামানত নেয় ওই ভুয়া এনজিও সুশীলন। পরে গ্রাহকের মাঝে ঋণের টাকা বিতরণ না করে অফিসে তালা লাগিয়ে উধাও হয়ে যায়। উপজেলার আন্ধারুপাড়া গ্রামের ভুক্তভোগী মনি আক্তার বলেন, সুশীলন এনজিও আমাদের এক লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা বলে একেকজনের কাছ থেকে ১০ হাজার ৫৭০ টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে। গোজাকুড়া গ্রামের ভুক্তভোগী জামিরা খাতুন বলেন, সুশীলন এনজিওর মাঠকর্মী আমাদের বাড়িতে গিয়ে সমিতি করার কথা বলে এবং নানা ধরনের কাজ শেখানোর কথাও বলেন। পরে সমিতির ৩০ জন সদস্য থেকে ৫ জনকে ঋণ দেওয়ার কথা বলে তাদের কাছ থেকে ১০ হাজার ৫৭০টাকা করে জমা নেন। আমরা ঋণের টাকা নিতে আসলে দেখি সুশীলন অফিসে তালা লাগানো। মরিচপুরান (বেনীরগোপ) গ্রামের ভুক্তভোগী অটোচালক জুয়েল মিয়া বলেন, সুশীলন এনজিওর কাছ থেকে ১ লাখ টাকা ঋণ নেওয়ার আশায় আমরা ১০ হাজার ৫৭০ টাকা করে জমা দেই। ঋণের টাকার জন্য তাদের অফিসে গেলে অফিসে তালা লাগানো দেখি। পরে মাঠকর্মী ও ম্যানেজারকে ফোন দিলে তাদের নাম্বার বন্ধ দেখায়। এই ঘটনায় ভুক্তভোগীদের মধ্য থেকে গ্রাহক মনি আক্তার বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল আলম ভুঁইয়া জানান, গ্রাহকের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ওই ভুয়া সুশীলন নামের এনজিওর তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।