ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা সন্তান পরিচয়ে সরকারি চাকুরী করার অভিযোগের তদন্ত অনুষ্ঠিত

ওসমান হারুনী : জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল্লাহ বিরুদ্ধে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা সন্তান পরিচয়ে সরকারি চাকুরী করে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ বিষয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির তদন্ত কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জানা যায়,দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল্লাহ তার বাবা ইসলামপুর উপজেলার চিনাডুলী ইউনিয়নের ডেবরাইপেচ গ্রামের আবুল কাশেমকে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান পরিচয়ে তিনি ২০১১সালে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পদে যোগদান করেন। এর পর প্রায় ৭বছর পর ওই ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের পরিচয় বিষয়টি জানা জানি হলে শহিদুল্লাহ কৌশলে অন্য অজুহাতে চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি চাইলে সংশ্লিষ্ট বিভাগ গত ১৮সেপ্টেম্বর ২০১৮ ইং সালে তাকে ওই চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়। পরে এই ব্যাপারে আলমাছ নামে এক ব্যক্তি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কৃষি মন্ত্রণালয় সম্প্রসারণ-৪ শাখাসহ বিভিন্ন দপ্তরের ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা সন্তান পরিচয়ে চাকুরী করে সরকারের প্রায় ১৮লাখ টাকা বেতন ভাতাদি তুলে আত্মসাৎসহ সরকারি টাকা কোষাগারে ফেরত বিষয়ে অভিযোগ দেন। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে কৃষি মন্ত্রণালয় সম্প্রসারণ বিভাগের পক্ষ থেকে জামালপুর খামারবাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার পিকন কুমার সাহা, জেলা অতিরিক্ত উপপরিচালক(উদ্যান) দিলরুবা ইয়াসমিন ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার আলমগীর আজাদসহ তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। গতকাল বুধবার (৫ মার্চ ২০২৫ইং) উক্ত তদন্ত কমিটি উভয় পক্ষকের উপস্থিতিতে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কার্যালয়ে তদন্ত করেন। এব্যাপারে তদন্ত কমিটি এক সদস্যদের সাথে কথা হলে তারা জানান, ২০২১সালেও তার বিরুদ্ধে একই বিষয়ে তদন্তে ভূয়া মুক্তি যোদ্ধা সন্তান বিষয়ে তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। এটি এই দপ্তরে ২য় বার তদন্ত হচ্ছে। উভয় পক্ষের কাছে আবারও লিখিত বক্তব্য নিয়েছি; পক্ষে বিপক্ষে কথা শুনেছি। তদন্ত রিপোর্ট বিষয়ে আগেই কিছু বলা যাবে না। তদন্ত কমিটি সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতনকে অবহিত করা হবে। এব্যাপারে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা সন্তান শহিদুল্লাহর সাথে কথা হলে তিনি তিনি এব্যপারে কোন বক্তব্য দিতে চাননি।