ভেঙ্গে দেয়া হলো বিকল্পধারা বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাহী কমিটি

২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে বারিধারা ক্লাবে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত বিকল্পধারা বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাহী কমিটির বিশেষ সভায় দলের মুখপাত্র ও প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহী বি. চৌধুরী উপস্থিত নেতৃবৃন্দের অনুমতি সাপেক্ষে বিকল্পধারা বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাহী কমিটি সহ জেলা, উপজেলা, মহানগর এবং অন্যান্য কমিটি বিলুপ্ত করার ঘোষণা দেন। সভার সভাপতি বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান মাহী বি চৌধুরীর উত্থাপিত প্রস্তাব সর্বাত্মকভাবে সমর্থন করেন। পরে প্রস্তাবটি ভোটে দিলে সর্বসম্মতিক্রমে তা সভায় পাস। সভায় মাহী বি চৌধুরী বলেন, বিকল্পধারা হবে সিঙ্গেল ইউনিট পার্টি। দলের কোনো অঙ্গ বা সহযোগী সংগঠন থাকবে না।

তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে দলের অস্তিত্ব রক্ষায় মহাজোটের শরিক হয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়া কোন ন্যায় সঙ্গত কারণ হতে পারে না। কোন দল তার আদর্শ বিসর্জন দেয়ার মধ্যেই দলের অস্তিত্বের সঙ্কট সৃষ্টি হয়। তিনি আরো বলেন, বিকল্পধারার যে সমস্ত নেতা-কর্মীরা ২০১৮ সালে নির্বাচনে অংশগ্রহণের যুক্তিসঙ্গত কারণ খোঁজার চেষ্টা করেন তাদের ভুলের জন্য কোন অনুশোচনাও নেই উপলব্ধিও নেই। সঙ্কট মোকাবেলায় সহজ ও সাধারণ পথে এগুনোর কোন সুযোগ নেই।

 জুলাই গণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের ভিতরে যে গণ আকাঙ্ক্ষা 

 সৃষ্টি হয়েছে সেই আলোকে বিকল্পধারাকে নতুন করে শূন্য থেকে কাজ করতে হবে।

 ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।

নির্বাহী কমিটি বিলুপ্ত করার পর সভায় সর্বসম্মতিক্রমে একটি জাতীয় কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কমিটির আকার হতে পারে ৫১ থেকে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট। কমিটিতে বর্তমান প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী দলের প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন, দলের মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান কার্যকরী প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন, আর থাকবে একটি প্রেসিডিয়াম, একজন কোষাধ্যক্ষ, একজন দপ্তর সম্পাদক আর সবাই সদস্য থাকবেন। রাজনীতিতে পরিবার তন্ত্রের বিরোধিতা করে মাহী বি. চৌধুরী বলেন, বিকল্পধারার কোন কমিটিতে একই পরিবারের একাধিক সদস্য থাকতে পারবে না। এই কারণে মাহী বি. চৌধুরী নতুন গঠিত জাতীয় কমিটিতে সদস্য থাকবেন না। তিনি দলের প্রাথমিক সদস্য থেকে দলকে সবধরণের সহযোগিতা করবেন। সভায় নয়টি উপ-কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় – (১) মানব সম্পদ উন্নয়ন স্কোয়াড, (২) বিকল্প পাঠশালা, (৩) প্রচার ও প্রকাশনা স্কোয়াড, (৪) গণতন্ত্র সুরক্ষা স্কোয়াড, (৫) বিশ্ব সম্পর্ক উন্নয়ন স্কোয়াড, (৬) জননীতি উন্নয়ন স্কোয়াড, (৭) গবেষণা ও উন্নয়ন স্কোয়াড, (৮) দল সম্প্রসারণ স্কোয়াড এবং (৯) ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক সচেতনা স্কোয়াড ।

সভার সভাপতি মেজর (অব.) আবদুল মান্নান বলেন, ২০১৮ সালে মহা জোটের অংশ হিসাবে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া আমাদের ভুল ছিল। আমাদের নতুন বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে হবে। বিকল্পধারার সাংগঠনিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করে বিকল্পধারার আদর্শকে জনগণের কাছে নিয়ে যেতে হবে। জনগণের বিশ্বাস অর্জন করে রাষ্ট্র পরিচালনায় অবদান রাখতে হবে। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন: সহ-সভাপতি মুহাম্মদ মহসিন চৌধুরী, ওবায়দুর রহমান মৃধা, যুগ্ম-মহাসচিব মোঃ এনায়েত কবির, দপ্তর সম্পাদক মোঃ ওয়াসিমুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় বিকল্প যুবধারার সভাপতি মোঃ আসাদুজ্জামান বাচ্চু , মোস্তফা সারওয়ার, আরিফুল হক সুমন, মোঃ নূর নবী চৌধুরী, ডা. আব্দুর রহিম, জাহাঙ্গীর আলম, গাজী শহিদুল কামাল, সাইফুল ইসলাম মিন্টু, মাজহারুল ইসলাম শিহাব, পারভেজ, তপু, সাকিফ আহমেদ, ফারহানা মাকনুন সাবা, শাহ আলম আলমাস,

মোঃ আনোয়ার হোসেন, মারুফ হাসান কাজল, সনি আদিত্য প্রমূখ।