মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাঠানোর কথা বলে নানা লোভনীয় অফার দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করত সংঘবদ্ধ একটি প্রতারক চক্র। এ চক্রের মূল হোতাকে গ্রেফতার করেছে কাফরুল থানা পুলিশ । রাজধানীর কাফরুল থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার মূল হোতা হলো ইকরা ট্রাভেলস ট্যুরিজম এর মালিক পলি আক্তার (৩৫)।
পলি আক্তার ও তার স্বামী ইমরানের বিরুদ্ধে কাফরুল থানায় ৬ ফেব্রুয়ারি ২৪ ইং তারিখে মামলা হয়। ধারা ৪২০,৪০৬,৫০৬। কাফরুল থানায় অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ১. মো. সেলিম মিয়া তার কাছ থেকে ইতালি পাঠানো কথা বলে অগ্রিম ১০০,০০০/- ফারুক আলম থেকে নেন ১,২০,০০০/- সাইকুল ইসলাম থেকে ১,০,৫০০০/- খোরশেদ আলম রানার থেকে ১০০,০০০/- জাহিদুল ইসলাম থেকে ১,৪০,০০০/- সালাউদ্দিন ভুইয়া থেকে ১,৪০,০০০/- এই ভাবে অসংখ্য মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন প্রতারক চক্র। মঙ্গলবার কাফরুল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফারুকুল আলম – জানান, কাফরুল থানা এলাকা থেকে বিদেশ পাঠানোর নামে অর্থ আত্মসাৎকারী সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের মূল হোতা হচ্ছে পলি আক্তার ও তার স্বামী ইমরান মাহমুদ(৪০) । তারা দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষকে টার্গেট করে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করে আসছিল। ভুক্তভোগীদের তারা প্রথমে জানায় মালয়েশিয়া তাদের কোম্পানি রয়েছে এবং সেখানে কিছুসংখ্যক লোক পাঠানো হবে। মালয়েশিয়ার কোম্পানিতে ভালো বেতন ও বছরে দুটি বোনাস এবং থাকা-খাওয়া ফ্রিসহ বিভিন্ন লোভনীয় অফার দেয় তারা। এমন লোভনীয় কথা বিশ্বাস করে ভুক্তভোগীরা তাদের কাছে পাসপোর্ট ও টাকা জমা দেন। পাসপোর্ট ও টাকা হাতিয়ে নিয়ে এ চক্র ভুক্তভোগীদের সঙ্গে টালবাহানা করতে থাকে। তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ায় ভুক্তভোগীরা তাদের অফিসে গেলে তারা গালাগালসহ অশোভনীয় আচরণ করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আশ্রয় নিতে গেলে ভুক্তভোগীদের প্রাণনাশেরও হুমকি দিত তারা। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও এমন প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আরেকজন ভুক্তভোগী মানিক বলেন- ইমরান ও তার স্ত্রী পলি আক্তার ৭০ টা পাসপোর্ট নিয়েছে বিদেশে লোক পাঠানোর কথা বলে। তার বিনিময় মানিকের কাছ থেকে ৫৫ লক্ষ টাকা নিয়েছে প্রতারক চক্র।