বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মানিত সভাপতি দীপংকর শিকদার দীপু মহোদয়ের সভাপতিত্বে জাতীয় প্রেসক্লাব,ঢাকা বংশাল থানার মিরনজল্লা পল্লীতে স্থানীয় ৩৩ নং ওয়ার্ড কমিশনার আওয়াল -এর নেতৃত্বে একটি স্বশস্ত্র বাহিনী কতৃক উক্ত পল্লীতে আতর্কিত হামলা চালায়, উক্ত হামলায় অনেকে রক্তাক্ত ও জখম হয় এবং মন্দিরে হামলা চালিয়ে চেয়ার ভাংচুর ও প্রনামী বাক্স চুরি করে নিয়ে যায়,অনেক মা- বোন লাঞ্ছিত হন।উক্ত বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে ও সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইনের দাবীতে শুক্রবার (১২ জুলাই) সকাল ১১ ঘটিকায় প্রচন্ড বৃষ্টি উপেক্ষা করে উক্ত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত মানববন্ধনে বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি দীপংকর শিকদার দীপু মহোদয়ের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সুমন কুমার রায়, সম্বনয়ক অনুপ কুমার দত্ত, সিনিয়র সহসভাপতি চিকিৎসক বাসুদেব রায় চন্দন, মুখপাত্র সাজন কুমার মিশ্র, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সঞ্জয় কুমার দে দুর্জয়, বাংলাদেশ হিন্দু যুব পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মনীষ বালা,সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন কুমার শিপু, লিটন দাস।বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ছাত্র মহাজোট সাধারণ সম্পাদক রনি রাজবংশী ভক্ত সংঘ সাধারণ সম্পাদক অনিল পাল,বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাসংঘ সভাপতি পীযুষ দাস, সাউথ এশিয়া দলিত ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ভীমপল্লী ডেবিড রাজু, বাংলাদেশ দলিত হিউম্যান রাইটস -,বাংলাদেশ জাতীয় সনাতন মহাজোট সুমন হালদার এর সাংগাঠনিক সম্পাদক,বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও অবৈধ উচ্ছেদের বিরুদ্ধে রিটকারী উৎপল বিশ্বসসহ বিভিন্ন সংগঠন উক্ত মানববন্ধনে একাত্মা প্রকাশ করেন।
বক্তাগন- উক্ত হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং উক্ত সমস্যা সমাধানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
মুখপাত্র – সাজন কুমার মিশ্র বলেন, এ দেশে রোহিঙ্গাদের জায়গা হয় কিন্তু দুঃখের বিষয় ৪০০ বছর ধরে যে নগরীকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রেখেছে তাদের উচ্ছেদ করা হয় যা স্বাধীন বাংলাদেশে অত্যান্ত দুখজনক।
সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সুমন কুমার রায় বলেন,প্রকাশ্য দিবালোকে হরিজন সম্প্রদায়ের উপর এধরনের ন্যাক্করজনক হামলায় এখনো কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি উল্টো তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে, সকল হিন্দু সম্প্রদায় আজ ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত, শুধু ভোট আসলে তাদের কদর বাড়ে,হিন্দু সম্প্রদায় এখন রাজনৈতিক ও তাদের অধিকার বিষয়ে সচেতন আগামী দিনগুলোতে তাদেরকে আর ভোট ব্যাংক হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না,আগামীদীনে তাদের ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে এ সকল অন্যায় অত্যাচারের দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে।
সভাপতি দীপংকর শিকদার দীপু তার সমাপনী বক্তব্যে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন আমরা ভেবেছিলাম বঙ্গবন্ধু কন্যা ক্ষমতায় থাকলে আমরা ভালো থাকবো,তিনি এক বুক ব্যাথা নিয়ে মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন, আর কিছু স্বার্থেনেষ্বী ব্যাক্তির কারনে তার পরিশ্রম ও সুনাম নষ্ট হচ্ছে, এ বিষয়ে আশু সমাধান সহ দ্রুত সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়নের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।