টানা ব্যর্থতায় ঘুরপাক খাচ্ছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। হার্দিক পান্ডিয়ার নেতৃত্বাধীন দলে বিতর্ক আর হারই ছিল সঙ্গী। সেখান থেকে অবশ্য কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়িয়েছে দলটি। সবশেষ দুই ম্যাচে জয় পেয়েছে ৫ বারের চ্যাম্পিয়নরা। তবে মুম্বাইয়ের ঘুরে দাঁড়ানোর মিশনে এক্স-ফ্যাক্টর হয়ে ছিল ঘরের মাঠ ওয়াংখেড়ে। হোম ভেন্যুতে নীলের সাগরে পরিণত হয়েছিল বিখ্যাত এই স্টেডিয়াম।
হোমগ্রাউন্ডের এই সুবিধা পুরোপুরি কাজে লাগিয়েছে মুম্বাই। সেইসঙ্গে গড়েছে অনন্য এক নজির। আইপিএলের প্রথম দল হিসেবে যেকোন মাঠে ৫০ জয়ের কীর্তি গড়েছে তারা। নিজেদের হোমগ্রাউন্ড ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে এখন পর্যন্ত ৮১ ম্যাচ খেলেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। তাতে ১ টাই এবং ৩০ হারের পাশাপাশি আছে ৫০ জয়।
এই তালিকায় পরের ধাপেই আছে চেন্নাই সুপার কিংস। নিজেদের হোমগ্রাউন্ড এম চিদাম্বারামে মাত্র ৬৭ ম্যাচেই ৪৮ জয় পেয়েছে তারা। হেরেছে ১৮ ম্যাচ আর টাই হয়েছে ১টি ম্যাচ। ৪৮টি করে জয় পেয়েছে আরও দুই দল। কলকাতা নাইট রাইডার্স ইডেন গার্ডেনে এবং চিন্নাস্বামীতে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু পেয়েছে ৪৮ জয়। তবে তাদের জন্য খেলতে হয়েছে অনেকগুলো ম্যাচ।
ইডেনে কলকাতা খেলেছে ৮২ ম্যাচ। চিন্নাস্বামীতে বেঙ্গালুরু খেলেছে ৮৭ ম্যাচ। তাদের তুলনায় অনেক কম ম্যাচই খেলেছে চেন্নাই সুপার কিংস। দুই মৌসুম নিষেধাজ্ঞার প্রভাবে বাকি দলগুলোর তুলনায় কম ম্যাচ খেলেছে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। তারপরেও অবশ্য নিজেদের মাঠে সাফল্য তুলে নিতে সিদ্ধহস্ত তারা।
হোমভেন্যুতে জয়-পরাজয়ের অনুপাতেও তাই বাকিদের তুলনায় অনেকটা এগিয়ে চেন্নাই। কমপক্ষে ২৫ ম্যাচ হোম ভেন্যুতে খেলেছে এমন হিসেবে চেন্নাইয়ের হারের বিপরীতে জয়ের অনুপাত ২.৬৬। এদিক থেকে সবার ওপরেই থাকবে মুস্তাফিজের এবারের দলটি।
দুইয়ে আছে রাজস্থান। জয়পুরে নিজেদের মাঠে ৫৫ ম্যাচে ৩৬ জয় নিয়ে তাদের জয়-পরাজয় অনুপাত ১.৮৯৪। এরপরেই আছে মুম্বাই, যাদের উইন রেশিও ১.৭ এর কম।