মূল্যবান গয়না পড়েছিল, হামলাকারী ছুঁয়েও দেখেনি : কারিনা

অভিনেতা সাইফ আলি খানের ওপর হামলার ঘটনায় বান্দ্রা পুলিশের কাছে জবানবন্দি দিয়েছেন অভিনেত্রী স্ত্রী কারিনা কাপুর। যেখানে তিনি বলেছেন, ঘটনার সময় হামলাকারী খুবই ‘আগ্রাসী’ ছিলেন। 

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে বয়ান দেন কারিনা। যেখানে তিনি বলেন, ছোট ছেলে জাহাঙ্গীরকে (আলি খান) বাঁচাতে মধ্যে দাঁড়িয়েছিল সাইফ। সে কারণেই হামলাকারীর সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি।’

হামলাকারী ‘খুবই আগ্রাসী’ ছিলেন উল্লেখ করে কারিনা বলেন, ‘ঘটনার সময় অত্যন্ত আগ্রাসী ছিল সেই হামলাকারী। ঘরে একাধিক মূল্যবান গয়না ঘরে খোলা অবস্থায় পড়েছিল। কিন্তু হামলাকারী তা ছুঁয়েও দেখেনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘সন্তান ও এক নারীকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল সাইফ। আমারা কোনোমতে প্রাণ বাঁচিয়ে ১২ তলায় উঠে যাই।’

বাড়িতে ঢুকে ছুরিকাঘাত সাইফকে, যা বললেন কারিনা

কারিনা জানান, হামলার পর তিনি বোন কারিশমা কাপুরের বাড়িতে গিয়েছিলেন। এর কারণ হিসেবে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি আতঙ্কিত ছিলাম, তাই কারিশমা আমাকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়।’

সাইফের ওপর হামলার পর একটি বিবৃতি দিয়েছেন কারিনা। যেখানে তিনি লেখেন, ‘আজকের দিনটা আমাদের কাছে প্রচণ্ড চ্যালেঞ্জিং ছিল। এখনও গোটা ঘটনার রেশ বোঝার চেষ্টা করে চলেছি। সংবাদমাধ্যম ও পাপারাজ্জির কাছে আমাদের অনুরোধ, দয়া করে মনগড়া খবর, গুজব ছড়াবেন না।’

অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘সবার সাহায্য ও উদ্বেগ যেমন আমাদের কাছে সমাদৃত একইসঙ্গে সর্বক্ষণ এই চুলচেরা বিশ্লেষণ, আমাদের নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হচ্ছে। আশা করব, আমাদের ব্যক্তিগত পরিসরকে আপনারা সম্মান করবেন। এই ধাক্কা সামলাতে আমার এবং আমার পরিবারের প্রয়োজনীয় সময় দেবেন। এই বিপদে আপনাদের বোঝাপড়া ও সহযোগিতার জন্য আমি আপনাদের অগ্রিম ধন্যবাদ জানাই।’

প্রসঙ্গত, বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাত আড়াইটা নাগাদ সাইফের বাড়িতে এক দুর্বৃত্ত হানা দেয়। এ সময় ছুরিকাঘাতে আহত হন অভিনেতা। লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সেখানে তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। এখনও সাইফ হাসপাতালে ভর্তি। যদিও চিকিৎসকরা বলছেন, অভিনেতা বর্তমানে শঙ্কামুক্ত।