মেলান্দহে আদালতের স্থগিতাদেশ অমান্য করে জমিতে ধান চাষ

Oplus_131074

স্টাফ রিপোর্টার : আদালতের স্থগিতাদেশ উপেক্ষা করে বিরোধপূর্ণ জমিতে জোরপূর্বক ধান রোপনের অভিযোগ উঠেছে জেলার মেলান্দহ উপজেলার দুরমুঠ ইউনিয়নের হামলা গ্রামের বাদশাহ, শাহ আলী উভয় পিতা ইরাদ আলী ও ফারুক, সৈয়দ আলী, মোক্তার আলীর উভয় পিতা বাদশাহ সোনারের বিরুদ্ধে। গত সোমবার মেলান্দহ থানায় এমন অভিযোগ করেছেন একই গ্রামের ভুক্তভোগী মোঃ জালাল উদ্দীন সোনার।
এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা এস আই জসিম এসময় জমিতে ধান রোপনরত অভিযুক্তদের আদালতের স্থগিতাদেশ দেখিয়ে রোপনকাজ বন্ধ রাখতে বল্লে, তারা পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রোপন অব্যাহত রাখে।
এলাকাবাসীসূত্রে জানা যায়, হামলা মৌজার ৪০নং খতিয়ানে বিআরএস খতিয়ান নং ১০১/২০৬/২২৬/২৯৩ দাগ নং ৪৭০/৪৭১/৪৭২/৪৭৩ পরিমাণ ২ একর ১৫ শতাংশ জমি নিয়ে বাদশাহ সোনার ও জালাল সোনারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরমধ্যে গতবছর বাদশাহ সোনার আদালতে মামলা করে ( ১৫/২/২০২৪ ইং তারিখে) একতরফা ডিগ্রি লাভ করেন। সেই ডিগ্রির বলে ঢোল পিটিয়ে বাদীর পক্ষে জমি বুঝিয়ে দেন আদালত। পরবর্তীতে সেই রায়ের বিপক্ষে ছানী দরখাস্ত করেন বিবাদী জালাল উদ্দীন। এমতাবস্থায় ১৭/৯/২০২৪ ইং তারিখে ন্যায় বিচারের স্বার্থে ছানী মোকাদ্দমাটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মূল মোকাদ্দমার পরবর্তী কার্যক্রম স্থগিত করেন আদালত।
এদসত্বেও বিবাদী জালাল উদ্দীনের সরলতা ও অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে বাদী বাদশাহ সোনার ও তাদের ছেলে পুলেরা আদালতের স্থগিতাদেশ উপেক্ষা করে নালিশি জমিতে অনুপ্রবেশ করে ধান রোপন করছে। যা এলাকার শান্তি শৃঙ্খলার পরিপন্থী।
এব্যাপারে দুরমুঠ ইউপির বর্তমান ইউপি সদস্য বাবুল ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ রাশেদুজ্জামান অপু বলেন, বিরোধপূর্ণ বিষয়টি আমরা দুই ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সালিসির মাধ্যমে নিষ্পত্তি করে দিয়েছিলাম। তারপরও বাদশাহ সোনারের লোকজনরা আমাদের সে সালিসিকে অমান্য করেছে।
জালাল উদ্দীন সোনার বলেন, আমরা শান্তিপ্রিয় মানুষ। তাই, সব ধরনের দাঙ্গা ফ্যাসাদ এড়িয়ে চলি। গ্রামের সবার সাথে মিলেমিশে থাকি। পক্ষান্তরে আমার প্রতিপক্ষ দাঙ্গাবাজ, ফেতনা ফ্যাসাদ সৃষ্টিকারি। তারা থানা পুলিশ, আইন আদালত, গ্রাম পঞ্চায়েত কিচ্ছুই মানে না। জোর জবরদস্তির মাধ্যমে তারা জমি, গাছ ও পুকুরের মাছ কেড়ে নিচ্ছে। এবং প্রাণনাশসহ নানা হুমকি ধমকি দিচ্ছে।
বাদশাহ সোনারের ভাই শাহ আলী বলেন, আমরা আদালত থেকে রায় পেয়েছি। আদালত ঢোল পিটিয়ে, লাল নিশান লাগিয়ে আমাদের জমি বুঝিয়ে দিয়েছে। আমাদের সে জমিতে চাষ করতে যারা বাঁধা দিবে পুলিশ, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি যে-ই হউক কাউকে মানা হবে না। তদন্তকারি কর্মকর্তা, পুলিশের এসআই, জসিম বলেন, জালাল উদ্দীনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। বাদশাহ সোনারের লোকজনদের স্থগিতাদেশের বলে আপাতত জমিতে রোপনের কাজ বন্ধ রাখতে বলেছিলাম। কিন্তু, তারা তা মানেনি।