মেলান্দহে দুর্নীতিবাজ প্যানেল চেয়ারম্যান বিলাশের বিরুদ্ধে অনাস্থা

মোহাম্মদ আলী : দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বাক্ষর জ্বাল ও বিভিন্ন প্রকল্প থেকে অর্থআত্মসাৎ এবং জনগণের ও জনপ্রতিনিধিদের দুর্ব্যবহারসহ নানা অভিযোগ এনে প্যানেল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থাপত্র দাখিল করেছেন পরিষদের সকল সদস্যরা।
গত মঙ্গলবার জেলার মেলান্দহ উপজেলাধীন ১নং দুরমুঠ ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান, মোঃ বিলাশ সরকারের বিরুদ্ধ জামালপুর জেলা প্রশাসক বরাবর এ অনাস্থাপত্র দাখিল করেছেন পরিষদের ইউপি সদস্যরা।
১নং দুরমুঠ ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য, শেফালী বেগম, ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের পারভীন সুলতানা, ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের আমেনা বেগম, ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সুলতান মাহমুদ, ২নং ওয়ার্ডের ফরিদ উদ্দিন, ৩নং ওয়ার্ডের আঃ করিম বাবুল, ৪নং ওয়ার্ডের অনিল, ৫নং ওয়ার্ডের মিলন খান, ৬ নং ওয়ার্ডের আলিনুর, ৮নং ওয়ার্ডের বেলাল শেখ ও ৯নং ওয়ার্ডের মানিক মিয়াসহ মোট ১১জন ইউপি সদস্য স্বাক্ষরিত একটি অনাস্থাপত্র সূত্রে জানা যায়, ৫ অগাস্টের প্রেক্ষাপটকে কেন্দ্র করে ওই ইউনিয়নের নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান, সৈয়দ রাশেদুজ্জামান জুবেরীর অনুপস্থিতিকে পুঁজি করে ২৬/১২/২০২৪ ইং তারিখে প্যানেল চেয়ারম্যান হন, ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন যুবদলের সদস্যসচিব, মোঃ বিলাশ সরকার।
তিনি ক্ষমতা হাতে পেয়েই বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের সাথে জড়িয়ে পড়েন। তার দায়িত্ব কালিন সময়ে ইউনিয়নে চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ সঠিক কাজে ব্যবহার না করে আত্মসাৎ করে আসছেন। আত্মসাতের ক্ষেত্রে পরিষদের সকল সদস্যের সিল ব্যবহার ও তাদের স্বাক্ষর জ্বাল করেছেন। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের কর ও ট্রেড লাইসেন্স বাবদ আদায়কৃত অর্থ ব্যাংকে জমা না রেখে নিজের পকেটে তুলেন। পরিষদের জন্য বরাদ্দকৃত প্রকল্প ও তার অর্থের পরিমাণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি ইউপি সদস্যদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন এবং বিএনপির দাপট দেখিয়ে তাদেরকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।
শুধু জনপ্রতিনিধিদের সাথে নয়, সেবা নিতে আসা জনগণের সাথেও অত্যান্ত রূঢ় ব্যবহার করেন প্যানেল চেয়ারম্যান। এছাড়া ইউনিয়নের মাতাল, নেশাখোর ও জুয়াড়ীদের সাথে তার সখ্যতা। তিনি তাদের গড ফাদার। তারা তাদের অপকর্মের কারণে কোথাও আটক হলে তিনি তাদের ছাড়িয়ে আনেন। আশ্রয় প্রশ্রয় দেন।
প্যানেল চেয়ারম্যানের এহেন দুর্নীতি, অন্যায় ও ক্ষমতার অপব্যবহারে ইউনিয়নের জনগণ এবং জনপ্রতিনিধিরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। তাই, তারা অসৎ, অযোগ্য প্যানেল চেয়ারম্যানের দ্রুত অপসারণ দাবি করেছেন।
দুরমুঠ ইউনিয়নে ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য, ফরিদ উদ্দিন বলেন, বিলাশ প্যানেল চেয়ারম্যান হওয়ার পর প্রতিহিংসাবশত আমাকে ১টা প্রকল্পও দেয়নি।
৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য, আঃ করিম বাবুল বলেন, বিলাশ আমার ২৪/২৫ অর্থবছরে একটি কাবিখা প্রকল্প থেকে ২ লাখ টাকা তুলে নিয়ে আত্মসাৎ করেছে।
এব্যাপারে মোবাইল ফোনে বার বার চেষ্টা করেও ১নং দুরমুঠ ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান, বিলাশ সরকারের মতামত পাওয়া যায়নি।