মেলান্দহে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে বাড়ি ঘর লুট, ৬জন আহত

নিজস্ব সংবাদদা : জামালপুরের মেলান্দহে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে বসতবাড়ীতে হামলা চালিয়ে নগদ টাকা ও স্বর্ণলংকার লুটের ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার ২৫ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় প্রতিপক্ষের মারধরের শিকার হয়ে ৬জন আহত অবস্থায় হাসপাতলে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহতরা হলেন, নয়াপাড়া গ্রামের মোঃ নাছির শেখের ছেলে, মনটু মিয়া (৪৫), মোঃ রুবেল শেখ (১৯), তমেজ উদ্দিন শেখের স্ত্রী মোছাঃ বাছিরন শেখ (৯০), নাছির শেখের মেয়ে মোছাঃ নাসিমা বেগম (২৯), নাছির শেখের স্ত্রী মোছাঃ ছামেলা বেগম (৫৫), তমেজ উদ্দিন শেখের ছেলে মোঃ নুরু শেখ (৬০)।এঘটনায় নাছির শেখের ছেলে মনটু মিয়া বাদী হয়ে সাত জনের নাম উল্লেখ করে আসামী করে মেলান্দহ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্তরা হলেন, মাহমুদপুর নয়াপাড়া গ্রামের আহালুর ছেলে মোঃ আবু সাইদ (৫৫), আবু সইদের ছেলে মোঃ মামুন (২৯), ছক্ক মিয়ার ছেলে মোঃ ফরিদ মিয়া (৪৫), ঝরু মিয়ার ছেলে মোঃ বুছা মিয়া (৫৫), ও মোঃ ফকির আলী, বুছা মিয়ার ছেলে মোঃ আরিফ (২৫), মোতালেব মিয়ার ছেলে মোঃ বাবুল (২৩)। এছাড়াও এই মামলায় নাম পরিচয়হীন আরও ১০/১২জনকে আসামী করা হয়েছে। মামলার এজাহার সূত্রে জানাগেছে, মন্টু মিয়াদের সাথে আবু সাইদদের দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলছিলো। শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে মন্টু মিয়ার বসতবাড়ীর পাশে ফসলি জমিতে ফুটবল খেলে জমির ফসল নষ্ট করে আবু সাইদের লোকজন। বিষয়টি নিয়ে মন্টু মিয়ার ছোট ভাই মোঃ রুবেল শেখের সাথে তর্ক-বিতর্ক হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই দিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মন্টু মিয়াদের লোকজন জুমার নামাজ পড়তে গেলে কাকা বাড়ীতে আবু সাইদ ও তাদের লোকজন রামদা, দা, লোহার ফালা, লোহার রড ও লাঠিসোটা নিয়ে মন্টু মিয়াদের বসতবাড়ীতে হামলা করে। এসময় মনটু মিয়ার ভাই মোঃ রুবেল শেখকে মাথায় বাড়ি দিয়ে মাথা ফটিয়ে দেয়, বৃদ্ধা দাদী মোছাঃ বাছিরন শেখ হাত ভাঙিয়া দেয় ও বোন মোছাঃ নাসিমা ও মা মোছাঃ ছামেলা বেগমদের বেধড়ক মারপিট করে। বসতঘরে প্রবেশ করে বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর ও লুট করে নিয়ে যায়। যার অনুমান মূল্য ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। ঘরে থাকা ০৪ ভরি ওজনের স্বর্ণের গহনা নিয়ে যায়। যার মূল্য অনুমানিক ৫ লক্ষ টাকা। মনটু মিয়ার বোন নাসিমা বেগমের গলায় থাকা ০১ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইনও নিয়ে যায়। যার মূল্য অনুমানিক ১লক্ষ ২৫ হাজার টাকা।
মারামারির খবর পেয়ে মনটু মিয়া বাড়ীতে গেলে মোঃ আবু সাইদ ও মোঃ ফরিদ তাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে বাম হাত, বাম কাধ ও কোমরের বাম পাশে গুরুতর জখম সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে এবং ব্যবসার কাজের জন্য পকেটে থাকা নগদ ২ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেয়। আহতদের ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তাদের অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। আহত রুবেল মিয়া ও বাছিরন শেখের অবস্থার আরও অবনতি হলে তাদের উভয়কে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপতালে ভর্তি করা হয়। মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এঘটনায় মনটু মিয়া বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।