মেলান্দহে লৌহজং বিল থেকে মাটি বিক্রি

oplus_1040

আব্দুল হাই : জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের উত্তর পাশ থেকে, হাফ কিলো দূরত্ব লৌহজং বিল, সেই লৌহজং বিল থেকে মাটি কাটার মহোৎসব চলছে। যে যার মত মাটি কেটে নেয়ার পাশাপাশি গর্ত করে মাটি বিক্রি করছে।এতে আশেপাশের ফসলি জমিসহ বাড়িঘর হুমকির মুখে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় হতাশ স্থানীয়রা। মৌখিকভাবে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও মিলছে না কোনো প্রতিকার। উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় তহসিলদার দেখেও যেন না দেখার ভান করছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, লৌহজং বিল থেকে মাটি বিক্রি করছে স্থানীয়রা। একটি প্রভাবশালী মহল কয়েক দিন ধরে ভেকু মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে মাটি কেটে ভাটায় বিক্রি করে আসছে। ওই চক্রের মুলহোতা জহুরুলসহ তার সহযোগীরা, প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। এবিষয়ে কেউ মুখ খুললে তাকে বিভিন্ন হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতিসহ নানাভাবে হয়রানী করা হয়। এতে দুর্ভোগে পড়েছে সড়কে চলাচলকারী যানবাহনসহ পথচারীরা। ধুলা, বালি উড়ে যাচ্ছে বাসাবাড়িতে এতে বিভিন্ন রোগের প্রভাব দেখা গেছে। মালঞ্চ আল আমিন জমিরিয়া মহিলা ফাজিল (স্নাতক)মাদ্রাসা শিক্ষার্থী সুমাইয়া বলেন, আমরা মাদ্রাসা আাসতে পারিনা। ধোলায় আমাদের জামা কাপড় নষ্ঠ হয়ে যায়। মাহেন্দ্রার ধুলার কারণে বাড়িতে পড়তে পারিনা, ভাত খাইতে পারিনা, দিনে জানালা খুলে পড়তে পারিনা। আমরা অসুস্থ্য হয়ে পরছি। স্থানীয়রা বলেন, কোনো অশুভ শক্তির জোরে ফসলি জমির মাটি কেটে পুকুর খনন করে দিনের পর দিন ইট ভাটায় মাটি বিক্রি করছে চক্রটি। স্থানীয় মহিলা লোকজন বলেন, আমরা প্রথমে বাধা দিছিলাম তারা মানে নাই, বার বার বাধা দিতে গেলে আরো উল্টা পাল্টা কথা বলে। এজন্য এখন চুপ করে আছি। আমাদের ক্ষতি হলে দেখার কেউ নেই, নিরুপায়। মাটি ব্যবসায়ী জহুরুলের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও ফোন রিসিভ করেননি। এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসনীম জাহান মুঠোফোনে কথা শেষ না হতেই লাইন কেটে দেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এস এম আলমগীর হোসেন বলেন, যারা অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রি করছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুতই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।