নিজস্ব সংবাদদাতা : জামালপুরের মেলান্দহের বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)’র উপ-সহকারী পরিচালক (সার) খন্দকার মো. আশরাফুল আলমসহ অন্যান্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতিক মেলান্দহ সার গুদামে সরকারি নিয়ম ভঙ্গ করে বিনা অনুমোতিতে সরকারি বাসভবনে বসবাস, অনুমোতি ছাড়াই এসি স্থাপন এবংকি বাহিরের লোক দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। বিএডিসির আবাসন নীতিমালা অনুযায়ী সরকারি ভবনে থাকতে হলে তাকে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের অনুমোতি নিয়ে থাকতে হয়। কিন্ত বিএডিসির প্রধান কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক (সার) মোহাম্মদ শওকত আলী, উপসহকারী পরিচালক (সার) মো. কামাল খান, উপসহকারী পরিচালক (সার) খন্দকার আশরাফুল আলমসহ তারা তিনজনই বিএডিসির অফিসেই রাত্রি যাপন করেন। খন্দকার আশরাফুল আলম উধর্বতন কতৃপক্ষের অনুমোতি ছাড়াই নিজ কক্ষে এসি স্থাপন করেছেন এতে ওসির বিদ্যুৎ বিল আসে মাসে প্রায় তিন থেকে চার হাজার টাকা যা সরকারের বিশাল অপচয়। তিনি বহিরাগত আত্মীয় দিয়ে গুদামের সার লোড-আনলোডসহ ডেলিভারীর কাজ করান। অথচ নিয়োগ প্রাপ্ত ব্যাক্তিকে রহস্যজনক ভাবে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখা হয়েছে। তাই বলা যায় কামলা দিয়ে কাজ করান,অফিসার এসির হাওয়া খান। এছাড়াও প্রতি মেমো/ ডিও কর্তন বাবদ সেলামি নেওয়া হয় দুই থেকে তিনশত টাকা, টিএসপি প্রতি বস্তা একশ থেকে একশত বিশ টাকা, ডিএপি চায়না ষাট টাকা, এমওপি কানাডা ত্রিশ থেকে চল্লিশ টাকা। তাছাড়াও অতিরিক্ত লোক নিয়োগ দিয়েছেন তার জন্য প্রধান লরি বাবদ যাট টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এসব টাকা লেনদেন নিয়ে প্রতিনিয়ত ঝগড়া লেগেই থাকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক ব্যাক্তি মেলান্দহ বিএডিসির দুর্নীতি ও অনিয়মের বিযয়ে সরে জমিনে তদন্ত পূর্বক স্থানীয় প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।
মেলান্দহে সার গুদামে কামলা দিয়ে কাজ করান,অফিসার এসির হাওয়া খান
