স্মার্টফোনের ব্যবহার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে হ্যাকিংয়ের ঝুঁকিও বাড়ছে প্রতিনিয়ত। তবে ফোন যে হ্যাক হলে সেটিও বোঝা যাবে বেশ কিছু লক্ষণ থেকে।
সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফোন হ্যাক হলে, অস্বাভাবিক ব্যাটারি খরচ হবে, ডেটা খরচও বাড়বে। এর সঙ্গে মোবাইলে নিজে থেকেই নানা অ্যাপ ডাউনলোড হতে থাকবে। এই লক্ষণগুলো দেখলে সাবধান। এছাড়াও কিছু লক্ষণ রয়েছে। এখানে তারই তালিকা দেওয়া হলো।
অস্বাভাবিক ব্যাটারি খরচ
ফোন হ্যাক হলে ব্যাটারি খরচ বেড়ে যাবে। এটি ব্যাকগ্রাউন্ডে ক্ষতিকারক সফটওয়্যার চলার ইঙ্গিত দেয়। ফলে বেশি ব্যাটারি খরচ হয়।
ফোন অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়া
টানা ব্যবহার করলে স্মার্টফোন গরম হয়ে যায়। এটা স্বাভাবিক। কিন্তু এর পাশাপাশি ধারাবাহিকভাবে ফোন গরম থাকা ডিভাইসে ম্যালওয়্যার বা স্পাইওয়্যার চলার লক্ষণ হতে পারে।
ডেটা খরচ বৃদ্ধি
ডেটা খরচ অপ্রত্যাশিতভাবে বেড়ে গেলে বুঝতে হবে ফোন ইউজারের অজান্তেই তৃতীয় পক্ষের কাছে তথ্য পাঠাচ্ছে। ফলে ডেটা খরচ অস্বাভাবিক বেড়ে গিয়েছে।
অদ্ভুত কার্যকলাপ
অ্যাপ নিজে থেকেই খুলে যাচ্ছে, বা অন্যের কাছে আপনাআপনিই মেসেজ কিংবা ফোন যাচ্ছে, তাহলে বুঝতে হবে ফোন হ্যাক হয়েছে।
পপ আপ এবং বিজ্ঞাপন
ফোন হ্যাক হলে পপ আপ এবং বিজ্ঞাপনের স্রোত বয়ে যায়। এমনকি কোনও ব্রাউজার ব্যবহার না করলেও এমনটা হতে পারে। এটাকে অ্যাডওয়্যার সংক্রমণের লক্ষণ বলে ধরা হয়।
অচেনা অ্যাপ
অচেনা অ্যাপ আপনাআপনিই ডাউনলোড হতে থাকলে সেটা ফোন হ্যাক হওয়ার অন্যতম গুরুতর লক্ষণ।
ফোন আচমকা স্লো হয়ে যাওয়া
ফোন যদি আচমকা স্লো হয়ে যায় অর্থাৎ কাজ করার গতি কমে যায়, তাহলে ম্যালওয়্যার হগিং রিসোর্সের ফলে এমনটা হতে পারে বলে মনে করা হয়।
বিলের অপ্রত্যাশিত চার্জ
প্রিমিয়াম পরিষেবা বা আন্তর্জাতিক কলের জন্য চার্জ বেড়ে গেলে বুঝতে হবে ফোন হ্যাকারদের কবলে পড়েছে।