টিকেট কালোবাজারির অভিযোগে ময়মনসিংহে রেলওয়ের কর্মচারী (বুকিং সহকারী) মো. রফিকুল ইসলামকে (৩০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাত্রীদের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর সংরক্ষণ করে টিকেট সংগ্রহ করে রফিকুল কালোবাজারে বিক্রি করতেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা রেলওয়ে বিভাগের পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন। এর আগে রোববার রাতে রেলওয়ে পুলিশ কালোবাজারির ১২টি টিকেটসহ তাকে গ্রেপ্তার করে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তারকৃত রফিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে টিকেট কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রোববার রাত ১১টার দিকে রেলওয়ে স্টেশনে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। এ সময় রফিকুল ইসলামকে ১২টি টিকেট, কালোবাজারির ৫১০০ টাকা, ২টি মোবাইল ফোন, সাধারণ যাত্রীদের এনআইডি ও মোবাইল নম্বর সম্বলিত তালিকাসহ আটক করা হয়।
পুলিশ জানায়, রেলওয়ে কর্মচারী রফিকুল ইসলাম দায়িত্বপালনের সময় কাউন্টারে টিকিট কাটতে আসা সাধারণ যাত্রীদের মোবাইল নম্বর ও জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর সংগ্রহ করে একটি তালিকা প্রস্তুত করে নিজের কাছে রেখে দিত। এরপর সময় সুযোগ বুঝে সাধারণ যাত্রীদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে বিভিন্ন গন্তব্যের ভিন্ন ভিন্ন ট্রেনের টিকিট কেটে নিজের কাছে রেখে দিত। এরপর বাইরে এনে তার পূর্ব পরিচিত দালাল ও কালোবাজারিদের কাছে সরবরাহ করতেন। টিকিট বিক্রির লভ্যাংশ তিনি বিকাশ ও নগদ অ্যাপসের মাধ্যমে বুঝে নিতেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় রেলওয়ে থানার পুলিশ সদস্য হানিফুর রহমান বাদি হয়ে সোমবার বিকেলে একটি মামলা করেছে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া রেলওয়ে থানার এসআই দ্বীপক চন্দ্র পাল বলেন, রফিকুল গত দেড় বছর ধরে এখানে কর্মরত। এখানে যোগদানের পর থেকেই যাত্রীদের জাতীয় পরিচয়পত্র সাদা কাগজে সংরক্ষণ করে টিকেট কালোবাজারি করতেন। তার কাছ থেকে কাগজও উদ্ধার করা হয়েছে। তার এসব অপতৎপরতার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, রফিকুল ইসলাম এর আগেও টিকেট কালোবাজারি মামলায় জড়িত থাকার তথ্যপ্রমাণ রয়েছে।