গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক দলটির চেয়ারম্যান কিংবা মহাসচিবসহ কোনো নেতাকর্মীকে দল থেকে বাদ দিতে পারেন না বলে দাবি করেছেন মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।
তিনি বলেন, ‘আগেও তিনি (রওশন এরশাদ) দুবার নিজেকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করে আমাদের বাদ দিয়েছিলেন। তার বক্তব্য ও সিদ্ধান্ত আমরা আমলে নিচ্ছি না।’
রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকালে জাপার প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ দলটির চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে অব্যাহতি দেওয়ার পর বনানীতে অবস্থিত চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন মুজিবুল হক চন্নু।
চুন্নু বলেন, ‘এ নিয়ে তিনবার রওশন এরশাদ দলের চেয়ারম্যান-মহাসচিবকে বাদ দিয়েছেন। তার আগেও তিনি দুইবার নিজেকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করে আমাদের বাদ দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে আবার প্রত্যাহার করেছিলেন এই বলে যে, তার ঘোষণাটা ঠিক নয়। তার এই বক্তব্য আমি পার্টির মহাসচিব হিসেবে আমলে নিচ্ছি না।’
রওশন এরশাদের ঘোষণা অগঠনতান্ত্রিক উল্লেখ করে চুন্নু বলেন, ‘প্রত্যেকটা দলের একটা গঠনতন্ত্র আছে, নিয়ম আছে। আমাদের গঠনতন্ত্রে এমন কোনো ধারা নেই, যাতে দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক দলের চেয়ারম্যান, মহাসচিব বা অন্য কাউকে বাদ দেবেন। এটা আমাদের গঠনতন্ত্রে নেই। রওশন এরশাদের ঘোষণার কোনো ভিত্তি নেই। গঠনতন্ত্রের বাইরে যে কোনো ব্যক্তি মনের মাধুরি মিশিয়ে কথা বলতেই পারেন, এসব কথার কোনো ভিত্তি নেই। তাদের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া নেই।’
রওশন এরশাদের বিরুদ্ধে কোনো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না জানিয়ে জাপা মহাসচিব বলেন, ‘রওশন এরশাদ আমাদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের স্ত্রী। তাকে শ্রদ্ধা করি। সেই শ্রদ্ধার কারণে তাকে জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক করা হয়েছে। প্রধান পৃষ্ঠপোষকের দলীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো রকম ক্ষমতা নেই, সুযোগ নেই। এটা একটা অলংকৃত পদ। অলংকৃত পদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।
চুন্নু বলেন, তবে রওশন এরশাদের সঙ্গে যারা মিটিং করেছেন তাদের জাতীয় পার্টি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তারা দলের কেউ নন।