রৌমারীতে অটো গ্যাস ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরন, আহত ৩, মালিক পলাতক

Exif_JPEG_420

রৌমারী সংবাদদাতা : কুড়িগ্রামের রৌমারীতে মের্সাস বয়েজ উদ্দিন অটো গ্যাস ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরন ঘটেছে। এতে ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছে। তাদেরকে উদ্ধার করে রৌমারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এনিয়ে শনিবার বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন। শুক্রবার দিনগত রাত সাড়ে ৯ টার দিকে মহিলা কলেজ রোডের ফিলিং স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনার পরে মালিক পক্ষ গাঁ ঢাকা দিয়েছে।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও বিষফোরন অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসন সুত্রে জানা যায়, সাবেক রৌমারী উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম শালু গত দু বছর আগে এ লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেন। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে উপসহকারী ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার ভুমি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার তদন্ত পূর্বক জেলা প্রশাসনের নিকট প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনের আলোকে মো: সায়েদুল আরিফ জেলা প্রশাসক কুড়িগ্রাম গত ২০২৩ সালের ৫ নভেম্বর লাইসেন্স নীতিমালা বর্ণিত শর্তাবলী যথাযথ ভাবে প্রতিপালন সাপেক্ষে আবেদনকারীকে অনপত্তি সনদ পত্র (এনওসি) প্রদান করা হলো এবং দাখিলকৃত নকসা স্বাক্ষরপুর্বক পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য এতদসঙ্গে পত্র প্রেরণ করেন।
এ ছাড়াও গত ২০২৪ সালের ৩০ জুন শালু কর্তৃক প্রস্তাবিত পত্রের আলোকে বিস্ফোরক অধিদপ্তর সেগুন বাগিচা ঢাকা কর্তৃক বিষয়টি আমলে নিয়ে অনুমোদন করা হয়। যাহার নম্বর ১৮১-২(৪)-০৫৯১; তারিখ ৩১-৭-২০২৪। যাহাতে উল্লেখ্য যে, এই অনুমোদন পত্র গ্যাসাধারে এলপিজি মজুদ এবং মটরযানের সাথে সংযুক্ত সিলিন্ডারে জ¦ালানী হিসাবে এলপিজি ভর্তির লাইসেন্স নয়। বিনা লাইসেন্সে সিলিন্ডারের এলপিজি ভর্তি করা এলপিজি বিধীমালা ২০০৪ এর বিধী ১২৫ অনুসারে দন্ডনীয় অপরাধ।
এদিকে গত ৭ নভেম্বর শুক্রবার বাদ জুম্মার পর গ্যাস ফিলিং স্টেশনটি শুভ উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের ৫ ঘন্টা পর এক বিকট শব্দের মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটে এবং মুহুর্তের মধ্যে গ্যাস ছড়িয়ে পড়লে তার দুগর্ন্ধে আশপাশের এলাকার মানুষ অস্বস্থি বোধ করে এবং ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে চলে যায়। খবর পেয়ে স্থনীয় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনা স্থলে এসে রাতভর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ব্যর্থ হয় এবং ফায়ার সাভির্সের ফায়ার ফাইটার ইউনুছ আলীসহ ৩ জন আহত হয়। পরে তাদেরকে রৌমারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পরের দিন শনিবার সকাল ১১ টায় ফায়ার সার্ভিস ডিএডি এনামুল হক, বিস্ফোরক অধিদপ্তর রংপুর পরিদর্শক অশোক কুমার, সহকারী কমিশনার ভুমি ও এক্সিকিউটিভ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সায়েকুল হাসান খাঁন ঘটনা স্থল পরিদশর্ন করেন এবং তারা পৃথক পৃথকভাবে সাংবাদিকদের বলেন, নীতিমালা শর্তভঙ্গ করে লাইসেন্স গ্রহন, বাউন্ডারী ও নিরাপত্তার অভাব এবং মালিকের দ্বায়িত্ব কর্তব্য অবহেলার কারনে এ ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এ মালিকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
তবে মুঠোনে যোগাযোগ করা হলে সাবেক রৌমারী উপজেলা চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শালুর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিকদের তিনি জানান, গ্যাস একটি তরল পদার্থ। এঘনায় তেমনটি প্রভাব ফেলবে না।