কুড়িগ্রামের রৌমারীতে খাদ্যবান্ধব, ভিডাবলিউবি ও ওএমএস কর্মসূচিতে দেয়া আবারও লাল সাদা মিশ্রীত চাল সংগ্রহের অভিযোগ উঠেছে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (এলএসডি)’র বিরুদ্ধে। গতকাল রবি ও সোমবার এ চাল আসছে। কর্মকর্তার দাবি, এই চাল আমি কোন মিলারের কাছ থেকে ক্রয় করি নাই বরং কুড়িগ্রাম সদর এলএসডি হতে এই চাল চলাচল সূচী পরিবহন ঠিকাদারের মাধ্যমে রৌমারী খাদ্য গুদামে এসেছে।
জানা যায়, রৌমারী উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচী, ভিডাবলিউডি, ওএমএস ডিলারের মাধ্যমে ৬টি ইউনিয়নে চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। তবে নভেম¦র মাসে প্রথম সপ্তাবে উক্ত কর্মসূচীর আওতায় এ চাল বিতরণ করা হবে। গুদামে পর্যাপ্ত চাল না থাকায় চলাচল সূচি জারি করে কুড়িগ্রাম সদর এলএসডি হতে রৌমারী এলএসডি’তে অন্তত ৪০০ মেট্রিক টন চাল আসে।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক উপজেলার খাদ্যবান্ধব ডিলার, স্থানীয় লোকজন বলেন, কয়েকদিন আগে পচাঁ দুর্গন্ধযুক্ত চাল বিতরণ নিয়ে হৈচৈ হয়ে গেল এবং খাদ্য কর্মকর্তা শহিদুল্লাহের বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শেষে তাকে বিদায় করা হয়। সেই কেলেঙ্কারী মুছতে না মুছতেই আবারও লাল ও সাদা মিশ্রীত চাল খাদ্যগুদামে এসেছে। সামনে খাদ্যবান্ধব, ভিডাবলিউবি ও ওএমএস কর্মসূচীতে বিতরণ করা হবে। আবারও এমন লাল/সাদা মিশ্রীত চাল এলাকার মানুষকে খাওয়াবে তারা।
স্থানীয় অভিজ্ঞমহল বলেন, নষ্ট ও লাল পচা চাল গুলো যেভাবে মানুষের মাঝে বিতরণ করতে না পারে সেদিকটা নজরদারী রাখতে হবে। বিভিন্ন অজুহাতদিয়ে কথা বলে, কোনভাবেই দায়ভার এড়াতে পারবেনা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও খাদ্য বিভাগ। আমরা চাই, বিতরণ কার্যক্রমে ভালোমানের চাল নিশ্চিত করা।
রৌমারী খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (এলএসডি) লিটন কুমার দাশ বলেন, কুড়িগ্রাম সদর খাদ্য গুদাম থেকে যে চাল এসেছে আমরা সেই চালই গুদামে রেখে বিতরণ করি। চাল মোটামুটি ভাল থাকলেও লাল চাল মিশ্রিত আছে। তবে আমি নিতে না চাইলেও জেলা খাদ্য কর্মকর্তা স্যারের নির্দেশ মোতাবেক গুদামে রেখেছি।
এবিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হামিদুল হকের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান, বিষয়টি দেখা হবে।
রৌমারীতে আবারও খাদ্য গুদামে লাল ও সাদা মিশ্রীত চাল সংগ্রহের অভিযোগরৌমারী সংবাদদাতা
