রৌমারী সংবাদদাতা : কুড়িগ্রামের রৌমারীতে স্কুল পড়–য়া দু’ছাত্রকে চুরির মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল মানববন্ধন, ও ওসির অপসারণের দাবীতে থানা ঘেরাও কর্মসূচী পালন করেন এলাকাবাসি। গত মঙ্গলবার ও বুধবার ১৪-১৫ অক্টোবর সকাল ১১টার দিকে উপজেলা প্রসাশনের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন পালন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, আহিমা খাতুন, ইস্রাফিল হক সোনারতি, জাকির হোসেন, ছক্কুমিয়া, জাহিদুল ইসলাম, রোকেয়া খাতুন, হাসিনা বেগম, বাদশাহ মিয়া।
বক্তরা বলেন, স্কুল পড়–য়া ছাত্র এনামুল (১৩) ও সাদ্দাম (১৫) নামের দুইজনকে নিশর্ত মুক্তি দিতে হবে। তা ছাড়া তদন্ত ছাড়াই রহস্যজনকভাবে আসামীকে আটক করে থানায় এনে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এই ওসিকে দ্রুত অপসারণ করার দাবী জানান তারা।
পুলিশ, পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের হরিণধরা পূর্বপাড়া গ্রামে ৯ অক্টোবর রাত ৯ টার দিকে সুরুত আলীর বাড়িতে চুরি ও অগিকান্ডেরœ ঘটনা ঘটে। পরের দিন সুরুত আলী বাদী হয়ে রৌমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করার আগেই গত ১৩ অক্টোবর সকালের দিকে হরিণধরা গ্রামের এসএসসি পরীক্ষার্থী সাদ্দাম হোসেন ও অষ্টম শ্রেণী পড়–য়া ছাত্র এনামুল হকসহ ৫ জন ব্যক্তিকে চুরির ঘটনার সাথে জড়িত থাকতে পারে সন্দেহে ডেকে নেয় বাদী সুরুত আলীর বাড়িতে। পরে তাদেরকে রশি দিয়ে বেধে রেখে ৯৯৯এ পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদেরকে আটক করে থানায় আনার খবরটি ছড়িয়ে পড়লে গ্রাম বাসিরা এগিয়ে আসে এবং আটকের বিষয়ে সঠিক তদন্ত ছাড়া আটকের ঘটনায় পুলিশকে বাধা সৃষ্টি করে। এনিয়ে পুলিশ ও গ্রাম বাসির সাথে বেশ কিছু বাকবিতন্ডতার সৃষ্টি হয়। তথ্য প্রমাণাদি ছাড়াই এনামুল ও সাদ্দামকে আটক করে থানায় আনার ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠে। পুলিশের এহেন কর্মকান্ডে, গাফলতি ও দায়িত্বের অবহেলার কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন স্থানীয়জনতা। পরে রাত ভর চলে দফায় দফায় তদবির ও দেনদরবার। অবশেষে তাদের নামে চুরির মামলা দিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। এখবর ছড়িয়ে পড়লে পরের দিন মঙ্গল ও বুধবার শতশত শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকার জনগন উপজেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে। বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে থানা গেটে অবস্থান করে এবং অন্যায় ভাবে স্কুল ছাত্রকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করার প্রতিবাদে ওসির অপসারণসহ শাস্তিমুলক দাবী জানান বিক্ষোভকারিরা।
এব্যাপারে রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ সেলিম মালিক বলেন, নিয়মিত মামলা হয়েছে। সঠিক ভাবে তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে এবং নির্দোষীদের যেন, আদালত পর্যন্ত না যেতে হয়, সে ব্যবস্থা করা হবে।
রৌমারীতে চুরির মিথ্যা অভিযোগে ছাত্র আটকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মানববন্ধন ও থানা ঘেরাও
