রৌমারী সংবাদদাতা : কুড়িগ্রামের রৌমারীতে দ্রুততম খালি অবৈধ ট্রাক্টর (কাকড়া) গাড়ি রাস্তার বিডে (স্প্রিড ব্রেকার) উল্টে একজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে চালকসহ ৪ জন। ২৯ জানুয়ারী সোমবার সকাল ৯ টায় ঝগড়ারচর গ্রামে ডিসি রাস্তায় ঝগড়ারচর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত শহিদুল ইসলাম (১৬) উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের হরিণধরা গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদ এর ছেলে। আহতরা হলেন, ট্রাক চালক হরিণধরা বংশি পাড়া গ্রামের মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে সবুজ মিয়া (২৬)সহ ৪ জন।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, ট্রাক্টরটি সবুজ মিয়া বাড়ি থেকে বের হয়ে বালু নেয়ার উদ্দেশ্যে যাচ্ছে। দ্রুতগামী খালি ট্রাক্টরটি ঝগড়ারচর গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে রাস্তার বিডে (স্প্রিড ব্রেকার) এসে গাড়িটি ছিটকে পাশে থাকা আনিছের পুকুরে গিয়ে পড়ে এবং গাড়ির নিচে পরে শহিদুল ইসলাম। ড্রাইভার সবুজ মিয়াসহ বাকি ৪ জন সাতার দিয়ে বেচে গেলেও শহিদুল ইসলাম বাচতে পারেনি। এলাকাবাসী গাড়ির নিচ থেকে উদ্ধার করে রৌমারী হাসপাতালে ভর্তি করেন। রৌমারী হাসপাতালের আরএমও ডাক্তার নীপা রানী সাহা তাকে মুতু ঘোষনা করেন।
এবিষয়ে ডাক্তার নীপা রানী সাহা জানান, হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃতু হয়েছে।
মৃত শহিদুলের মা অজিবে খাতুন কান্নার চোখে বলেন, আমার ছেলের এমন মৃত্যুর বিচার চাই। আমি কোন সমাধান চাই না।
থানার সামনে গিয়ে দেখা গেছে, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রেজাউল করিম, সামিউল ইসলাম জীবন, আফজাল হোসেন, লাল মিয়া মেম্বারসহ অনেকেই বিষয়টি নিয়ে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। এর আগেও এমন ঘটনার ধামাচাপা দেয়া হয়েছে।
দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি সাবেক অধ্যক্ষ সামিউল ইসলাম জীবন বলেন, মৃতু ব্যাক্তি ও গাড়ির মালিকগণ গরিব মানুষ। লাশ নিয়ে গিয়ে দাফনের ব্যবস্থা করা হবে। এমন মরা মানুষ নিয়ে কোন কিছু করার দরকার নাই।
দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বলেন, বাদী বিবাদী আপস মিমাংশা হইলে আমার করার কি আছে। পুলিশ বাদী মামলার কথা বললে তিনি আরো বলেন, পুলিশ করলে করবে।
সাংবাদিকরা লাশ থানায় নেয়া এবং আইনত ব্যবস্থা গ্রহনের বিষয়ে বললে, রৌমারী থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ হিল জামান জানান আমি বিষয়টি দেখতেছি। এরির্পোট লেখা পর্যন্ত দেন দরবারের কারনে লাশ হাসাপাতালে রয়েছে। ট্রাক্টর (কাকড়া) পুকুরে রয়েছে।
উল্লেখ্য যে, রৌমারী উপজেলায় সমিতির মাধ্যমে প্রভাবশালী মহলের তত্বাবধায়নে প্রায় সাড়ে ৪ শত ট্রাক্টর (কাকড়া) প্রশাসনের মাসিক মাশোহারার মাধ্যমে গাড়ি গুলি রাস্তায় দাপটে চলে। প্রতি বছরে এ কাকড়ার সাথে ধাক্কা লেগে ৫/৬ জনের মৃতু ও শতশত আহতের ঘটনা ঘটে। সব গুলি নিহতের ঘটনা গুলি রফাদফায় পার পেয়ে যায়। কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি।