রৌমারী সংবাদদাতা : কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে রৌমারীর পুর্বাঞ্চল জিঞ্জিরাম ও ধর্নী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। নদীর পানি উপচে নি¤œাঞ্চল ও চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিতে নিমজ্জিত হয়ে নষ্ট হচ্ছে বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলীর ক্ষেত। এতে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কয়েকদিনের টানা বর্ষণের ফলে কৃষকদের শতশত হেক্টর জমির ধান, বাদাম, মাশকলাই, মরিচ, পিয়াজ ও শাক সবজির ফসল তলিয়ে যেতে শুরু করেছে। টানা ভারী বর্ষণের ফলে রৌমারী উপজেলার পূর্বাঞ্চল জিঞ্জিরাম ও ধর্নী নদনদী, খাল বিলে হুহু করে বাড়ছে পানি। ফলে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন কৃষক।
কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, রৌমারী উপজেলায় এবার অন্তত ১০ হাজার ২ হেক্টর জমিতে আমন ধান, বাদাম, মরিচ, পিয়াজ, মাশকলাই, শাকসবজির আবাদ করা হয়েছে। ইতি মধ্যে এসব জমির বেশির ভাগ ধানে থোর হয়েছে। এবং আগাম জাতের বাদাম গাছেও বাদাম ধরতে শুরু করেছে। এর মধ্যে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে ১১ শত ৫৫ হেক্টর জমি নিমজ্জিত হয়েছে। হঠাৎ ভারী বৃষ্টির কারণে কৃষকদের কঠোর পরিশ্রম ও ঋণ, ধারদেনা করে ফসল রোপনের পর নবান্নের স্বপ্নে লালিত ছিল। সেই ধান ও বাদাম এখন ঝুকিতে রয়েছে। কৃষকরা বলছেন, এভাবে ভারীবৃষ্টিপাত থাকলে ৭০ ভাগ জমির ধান, বাদাম নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সোলায়মান নামের এক কৃষক বলেন, এবার যে ভাবে ধানের ও বাদামের ফলনের চেহারা দেখা যাচ্ছিল। তাতে কৃষকের গোলাভরা ধান হতো। প্রতি বিঘায় ৪০/৫০ মন ধান পাওয়ার আশা করা হয়েছিল। সবুজ মিয়া নামের আরেক সবজি চাষি বলেন, আমি এবার প্রায় দেড় বিঘা জমিতে মরিচ, বেগুন, শাকসবজি, লাউ চাষ করে ছিলাম। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাতের কারনে আমার সবজির জমি তলিয়ে গেছে। ৩/৪ দিন জমিতে পানি থাকলে সবজি নষ্ট হয়ে যাবে।
এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাইউম চৌধুরী জানান, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে উপজেলার পুর্বপাশে জিঞ্জিরাম ও ধর্নী নদী উপচে চর ও নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। উপজেলায় এবার বিভিন্ন ফসলের আবাদ অর্জিত হয়েছে ১০ হাজার ২ হেক্টর জমিতে। এতে কয়েকদিনে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে আক্রান্ত হয়েছে ১১ শত ৫৫ হেক্টর জমিতে। তবে এমন থাকলে বন্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এবং ফসলের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।