রৌমারী সংবাদদাতা : রৌমারী উপজেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বই বিতরন শেষ না হতেই অবৈধভাবে রৌমারী থেকে পাচারকালে শেরপুরে একটি পিকাপ ভ্যানে বিনামূল্যে বিতরণের সরকারি প্রায় ৯ হাজার বই আটক করেছে সদর থানা পুলিশ। ঔ সময় শেরপুর থেকে মাইদুল ইসলাম (৩২) ও রৌমারী থেকে জামাল উদ্দিন নামের দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।
উপজেলা মাধ্যমিক অফিস সুত্রে জানা যায়, প্রতিবছরের ন্যায় বছরের ১ম জানুয়ারীতে সকল মাধ্যমিক স্তরের স্কুলে পাঠ্যবই বিতরণ করা হয়। সেই লক্ষে রৌমারীতে মাধ্যমিক স্তরে ২২ হাজার ২০০ ছাত্রছাত্রীর স্থলে বই আসে। ২০২৫ সালের সরকারি মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবই গোপনে পাচার কালে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এসএসআইয়ের এম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২২ জানুয়ারী বুধবার রাতে শেরপুর সদর উপজেলার চরমোচারিয়া ইউনিয়নের ধাতিয়াপাড়া গ্রামে অভিযান চালায় পুলিশ। ঔ সময় পিকাপভর্তি মাধ্যমিকের অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেনীর বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ের সরকারি বিনামূল্যে বিতরণের প্রায় ৯ হাজার বই জব্দ করা হয়।
এবিষয়ে রৌমারী উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপারভাইজার মুক্তার হোসেন বলেন, বই রাখার গোডাউনের চাবি আমাদের অফিসের নৈশ প্রহরি জামাল উদ্দিনের কাছে থাকে। কিভাবে বই গুলো পাচার হলো আমি জানি না। আমি দুইদিন হলো উলিপুরে এক্সিডেন্ট করে অসুস্থ্য অবস্থায় রংপুর হাসপাতালে রয়েছি। তবে শুনেছি ২ হাজার বই পাচার হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (অতিরিক্তঃ) কামরুল ইসলাম বলেন, আমি গতকাল উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার হিসাবে যোগদান করেছি। আমি জানতে পারলাম রৌমারী মাধ্যমিক স্তরের প্রায় ২ হাজার পাঠ্যবই পাচারকালে শেরপুর জেলায় গোয়েন্দা পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। মাধ্যমিক কার্যালয়ের নৈশ প্রহরি জামাল উদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
অফিসার ইনচার্জ লুৎফর রহমান বলেন, শেরপুর জেলা পুলিশ সুপার রৌমারী থেকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্যবই পাচারকালে আটক করার বিষয়ে আমাকে জানিয়েছে। পরে রৌমারী উপজেলা চত্তর থেকে নৈশ প্রহরি জামাল উদ্দিন নামের একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন আনা হয়। এ বিষয়ে শেরপুর থেকে একটি তদন্তটিম এসে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।