রৌমারী সংবাদদাতা ; রৌমারীতে বাঁশের সাঁকো পাড়াপারের সময় সাঁকোর মাঝ পথে জন্ম হওয়া সুতিরপাড় গ্রামে উন্নয়নের সুত্র নবজাতক স্বপ্নাকে উপহার দিলেন প্রশাসন। খবর পেয়ে ওই নবজাতককে দেখতে ছুটে গেছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শালু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান, রৌমারী থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লা হিল জামান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সামসুদ্দিন, উপজেলা পরিষদ ভাইচ চেয়ারম্যান সামসুল দোহা, শৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, উপজেলা প্রকৌশলী মঞ্ছুরুল হক, সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ। গতকাল ৭ জুলাই রোববার সকালে উপহার সামগ্রী ও কিছু অর্থ নিয়ে সুতিরপাড় গ্রামে আহাম্মদ আলীর মেয়ে বিলকিছের বাড়িতে যান। এসময় নবজাতককে কোলে তোলে নেন তারা। তার আগে নবজাতক ও প্রসুতি মায়ের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন ইউএনও।
উল্লেখ্য যে, গত ৬ জুলাই শনিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় সুতির পাড় গ্রামের আহাম্মদ আলীর অন্তসত্যা মেয়ে বিলকিছ বেগম প্রসব বেদনায় অস্থির হলে তাকে ডেলিভারীর জন্য রৌমারী স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সে আনার পথে নড়েভরে বাঁশের সাঁকো পারাপারের সময় প্রচন্ড প্রসব বেদনায় বাঁশের সাঁেকার মাঝপথে টলে পড়ে বিলকিছ বেগম। পড়ে তাৎক্ষণিক ভাবে সাথে থাকা মহিলারা সন্তান প্রসবে সহায়তা করলে সেখানেই একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। যার নাম রাখা হয় স্বপ্না খাতুন। পরে বিষয়টি নিয়ে পত্রপত্রিকায় লেখালেখির মাধ্যমে খবরটি সারাদেশে ভ্ইারাল হয়। পরে নবজাতক শিশুকে দেখতে যানা তারা।
এবিষয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শালূ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান বলেন, রৌমারী উপজেলাধীন মাঝিপাড়া সুতির পাড় নামক স্থানে স্লুইজ গেট খালের উপর ভাঙ্গা সাঁকোটিকে নবজাতক শিশু স্বপ্নার সুত্র ধরে অতিদ্রুত ১৫ টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষের চলাচলের আধা ভাঙ্গা বাঁশের সাকোটি হবে স্বপ্না ব্রীজ।