রৌমারী সংবাদদাত ; রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি বেহাল দশা। ২৫ জন ডাক্তারের স্থলে আছে ৩ জন। নুন্যতম সেবা পাচ্ছেনা সাধারণ মানুষ। অর্ধকোটি টাকার চারটি এক্স-রে মেশিন থাকলেও কতৃপক্ষের অযতœ অবহেলায় স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত রৌমারীর ৩ লাখ মানুষ। অযোগ্য অদক্ষ পঃপঃ কর্মকর্তা আসাদুজ্জামানের লুটপাট স্বেচ্ছাচারিতা যেন থামছেইনা। রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে অচলে থাকা অর্ধকোটি টাকার উপরে ৪টি এক্স-রে মেশিন বরাদ্দ দেওয়া হয়। যে মেশিন গুলো মানুয়ের সেবার উদ্দেশ্যে সরকার সরবরাহ করে। যুগযুগ ধরে অর্ধকোটি টাকার যন্ত্রাংশ হাসপাতালে সাপ্লাই থাকলেও অদৃশ্য কারণে চালু করা হয়নি এক্স-রে মেশিন গুলো। উপকার থেকে বঞ্চিত সেবা নিতে আসা রোগীদের অভিযোগ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৩ সালে ৫০ এমএম, ১৯৮৬ সালে ৩০০এমএম, ২০২০ সালে এক্স-রে আরওয়াই ৭৯৯ ২০০এমএম ও ২০ সেপ্টম্বর ২০২০ সালে ২০০ এমএম এক্স-রে মেশিন এক্সআর ওয়াই ৯২১ রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বরাদ্দ দেওয়া হয়। এদিকে ২ নভেম্বর ২০২০ সালের বরাদ্দকৃত ২০০ এমএম এক্স-রে মেশিনটি সুক্ষকারচুপির মধ্যদিয়ে চুরি হয়ে যাওয়ার নাটক করা হয়। প্রবাদ আছে, (আছে গরু না বয় হাল , তার দুঃখ সর্বকাল) এমন রৌমারী বাসির কপাল। রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে অসংখ্য পদে চাহিদা অনুযায়ী বর্তমানে ২৫ জন ডাক্তারের মধ্যে ৩ জন ডাক্তার ও ৪ জন সেকমো দিয়ে চলছে হাসপাতাল, নার্স কম, ওয়ার্ডবয়,ঝারুদার, সুইপার, কনসালটেন্টসহ অসংখ্য শুন্য পদ রয়েছে। এসব পদ শুন্য থাকায় হাসপাতালটির সেবা কার্যক্রম মুখ থুবরে পড়েছে। উপজেলা পঃপঃ কর্মকর্তা ডাক্তার আসাদুজ্জামান ষ্টোর কিপার আব্দুস সাত্তারের কাছে কোটি টাকার এক্স-রে মেশিন এর সরেজমিন চিত্র অবস্থান দেখতে চাইলে তারা বলেন, এসব দেখানো যাবেনা , নানা অজুহাতে সাংবাদিকদের তথ্যদিতে নারাজ। সরেজমিনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রোগীদের নিকট ঔষধ ও সেবা বিষয় জানতে চাইলে তারা বলেন, হাসপাতালে পর্যাপ্ত নার্স নেই,২,৪টি ঔষধ ছাড়া, বাকীসব ঔষধ বাহির থেকে কিনতে হয়। এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আসাদুজ্জানের নিকট তথ্য চাওয়া বিষয়েসহ অনিয়ম দুর্নীতির কথা জিজ্ঞাস করলে তিনি জানান, অনেকবার তথ্য দিয়েছি। বারবার তথ্য দেয়া যাবেনা। আর আমি কোন অনিয়ম দুর্নীতি করিনি। কেউ বলে থাকলে তাহা মিথ্যা।