ঢাকাই সিনেমার এক সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। দেশের সবচেয়ে ব্যবসাসফল ছবি ‘বেদের মেয়ে জোসনা’র অভিনেতা তিনি। বর্তমানে পর্দায় খুব একটা দেখা যায় না তাকে। তবে বিভিন্ন সময় সিনেমা সংক্রান্ত ব্যাপারে কথা বলতে দেখা যায়। পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা বিষয়ক সংস্থা ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ এর প্রতিষ্ঠাতাও এই নায়ক।
সামাজিক মাধ্যমে বেশ সক্রিয় ইলিয়াস কাঞ্চন। সম্প্রতি ফেসবুকে হাজির হয়ে নিজের ব্যক্তিজীবন নিয়ে কথা বললেন তিনি। জানালেন তাকে নিয়ে দীর্ঘদিনের কিছু গোপন তথ্য। বেশ সাবলীলভাবে ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে ভাগাভাগি করে নিলেন এই নায়ক।
কাঞ্চন তার ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে লাইভে এসে বলেন, ‘ব্যস্ততার জন্য অনেক দিন হয় আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে পারছি না, এ জন্য ভালো লাগছিল না। লাইভে চলে আসলাম। আমার জীবনের কিছু মজার ঘটনা ও দুর্বলতা শেয়ার করব আপনাদের সঙ্গে। যার মধ্যে অন্যতম একটি আমার আঙুল। আমার আঙুল দুটো ছোটবেলায় পুড়ে গিয়েছিল। শুধু পুড়ে যাওয়ার ফলে আঙুল দুটোর এ রকম ক্ষতি হয়নি। এর পেছনেও আরেকটি কাহিনি আছে।’
ছোটবেলার স্মৃতিচারণ করে কাঞ্চন বললেন, ‘আমার বাবারা সাত ভাই ছিলেন। বাবা ছিলেন চার নম্বর। আমি যখন হামাগুড়ি দিয়ে চলি, ওই সময় বাবার ৫ নম্বর ভাই বিয়ে করেন। মা-বাবাদের কাছে শুনেছি―ওই সময় গরম চুলায় হাত দিয়ে আঙুল দুটি পুড়িয়ে ফেলেছিলাম আমি। তখন ঘরে বাবার ভাইয়ের নতুন বউ। তিনি বড় ঘোমটা পরে চলাফেরা করতেন।’
কাঞ্চন বলেন, ‘একদিন আমি পোড়া আঙুল দিয়ে হামাগুড়ি দিচ্ছিলাম আর উনিও বড় ঘোমটা দিয়ে হাঁটছিলেন। ওই সময় তার পা আমার পোড়া আঙুলের মধ্যে পড়ল। এতে আমার আঙুল দুটো আরও থেঁতলে গেল। বড়রা বলেছিল, ওই সময় চাচির পায়ের চাপা খাওয়ায় আমার পোড়া নরম আঙুল পায়ের সঙ্গে কিছুক্ষণ লেগেছিল। এরপর থেকেই এ খুঁত সঙ্গে নিয়েই আমি বড় হয়েছি।’
সিনেমা ক্যারিয়ার সম্পর্কে এই নায়ক বলেন, ‘যখন অল্প বয়সে নায়ক ছিলাম, ওই সময় বেশ সতর্ক হয়ে কাজ করেছি। যাতে পর্দায় এই দুর্বলতা কখনও ফুটে না উঠে। কিন্তু এখন সেই গোপন কথাটি বলছি আমি। কেননা, এখন তো আর নায়ক নই আমি।’
এছাড়াও লাইভে গ্রাম জীবনে বেড়ে ওঠা আরও অনেক অভিজ্ঞতার কথাও শোনালেন ইলিয়াস কাঞ্চন। জীবনে অনেকবারই নাকি মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পরম করুণাময় আল্লাহর কৃপায় বেঁচে গেছেন এমন রোমাঞ্চকর ঘটনাও ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করেন গুণী এ শিল্পী।