ভারতের লাদাখের দেপসাং এবং দেম্পচকে মুখোমুখি অবস্থান থেকে সরে যাবে ভারত ও চীনের সেনারা। ২০২০ সালের এপ্রিলে দুই দেশের সেনারা যে অবস্থানে ছিল আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে তারা সেখানেই ফিরে যাবে। আজ শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) ভারতীয় সেনাবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে।
সেনারা সরে যাওয়ার পাশপাশি অস্থায়ী অবকাঠামো— শেড অথবা তাঁবুও সরিয়ে নেওয়া হবে। অপরদিকে গ্রাউন্ড কমান্ডাররা নিয়মিত বৈঠক করবেন।
একটি সূত্র জানিয়েছে, দুই পক্ষই দেপসাং এবং দেম্পচকে নজরদারি চালাতে পারবে। যদি কোনো দেশের সেনারা টহল দিতে যায় তাহলে আগে থেকে জানাবে যেন কোনো ধরনের ‘ভুল বোঝাবুঝি’ না হয়।
গত সপ্তাহে চীনের সঙ্গে শুধুমাত্র এই অঞ্চলের জন্য পেট্রলিং চুক্তিতে রাজি হয় ভারত। এরমাধ্যমে গত চার বছর ধরে চলা লাইন অব একচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি) নিয়ে চলা উত্তেজনা কমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২০২০ সালের মে মাসে পেংকং লেকে দুই দেশের সেনার মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। অপরদিকে জুনে লাদাখের গালওয়ানে বড় ধরনের সংঘর্ষ হয়। এতে মর্মান্তিকভাবে ২০ ভারতীয় সেনা প্রাণ হারান।
এরপর দুই দেশই অঘোষিত আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলএসিতে সেনাবাহিনীর সংখ্যা বৃদ্ধি করে। গত বছরের আগস্টে এক প্রতিবেদনে জানা যায় ভারত ৭০ হাজার সেনা, ৯০টি ট্যাংক এবং কয়েকশ সামরিক যান বিমানে করে পূর্ব লাদাখে নিয়ে গেছে। এছাড়া সেখানে সুখোই ও জাগুয়ার যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে তারা।
এর জবাবে চীনও পূর্ব লাদাখ এবং উত্তর ফ্রন্টে বিপুল সেনা মোতায়েন করে। গত সপ্তাহে ভারতীয় সেনাপ্রধান জানান, চীনের ওপর তারা পুনরায় বিশ্বাস স্থাপনের চেষ্টা করছেন। অর্থাৎ চীনকে বিশ্বাস করে মুখোমুখি অবস্থান থেকে সেনাদের সরিয়ে নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন তারা।