ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ শামি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নেই প্রায় এক বছর হতে চলল। এমনকি চোটের কারণে তিনি ঘরোয়া ক্রিকেটেও নিয়মিত হতে পারছেন না। চলতি মাসে নিউজিল্যান্ড সিরিজ দিয়ে তার জাতীয় দলে ফেরার গুঞ্জন থাকলেও সেটিও হচ্ছে না আপাতত। এমনকি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আগামী মাসে বহুল প্রতীক্ষিত সিরিজে শামিকে পাওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
আগামী ১৬ অক্টোবর থেকে ভারতের মাটিতে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে নিউজিল্যান্ড। সে উপলক্ষ্যে আজ স্বাগতিক রোহিত শর্মাদের দল ঘোষণা করা হয়েছে। সেই দলে নেই শামির নাম। বাংলাদেশ সিরিজের স্কোয়াড থেকে কেবল একজনকে বাদ দিয়ে নতুন দল ঘোষণা করা হয়েছে, যেখানে টেস্টের সহ-অধিনায়ক করা হয়েছে জাসপ্রিত বুমরাহকে।
এরপর থেকে শামির চোট কেমন এবং তিনি অস্ট্রেলিয়া সিরিজে খেলতে পারবেন কি না তা নিয়ে বিশ্লেষণে নেমেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। গত বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে ওয়ানডে বিশ্বকাপ হয়েছিল ভারতে। এরপর গোড়ালির চোট পুরোপুরি সারাতে অস্ত্রোপচার করান শামি। তা থেকে পুনর্বাসনে তিনি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমিতে (এনসিএ)। পরবর্তীতে গত জুলাইয়ে তিনি নেটে পুরোদমে বোলিং করতে পারছেন বলেও এক ভিডিওতে জানান দেন।
তবে এরই মাঝে আবারও তিনি চোট পেয়েছেন বলে একটি গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। যা দেখে ক্ষুব্ধ শামি সামাজিক মাধ্যমে তার প্রতিবাদ জানিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহবান জানান। এরপর ক্রিকেট এসোসিয়েশন অব বেঙ্গল (সিএবি) রঞ্জি ট্রফির শুরুর অংশে রাখেনি এই ডানহাতি পেসারকে। সংস্থাটির বার্ষিক সভায় যোগ দিয়ে মাঠে ফেরার বিষয়ে উত্তরপ্রদেশের এই গতিতারকা বলেন, তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন, তবে তার কোনো তাড়া নেই। যখনই নিজেকে শতভাগ ফিট মনে করবেন দলে ফিরবেন শামি।
বেশ কয়েকটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, বেঙ্গল দলের হয়ে রঞ্জি ট্রফিতে এক বা দুটি ম্যাচেও খেলার কথা রয়েছে তার। ১১ অক্টোবর উত্তরপ্রদেশ এবং ১৮ অক্টোবর বিহারের বিপক্ষে দলটির দুটি ম্যাচ রয়েছে। যেখানে খেলতে না পারলে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের জন্য শামির ডাক পাওয়ার সম্ভাবনা কম। আগামী ২২ নভেম্বর থেকে ভারত-অস্ট্রেলিয়া পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে মুখোমুখি হবে।
শামি সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন ওয়ানডে বিশ্বকাপে। তারও আগে তিনি টেস্ট ফরম্যাটে খেলেছেন ২০২৩ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে। ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটিতে অস্ট্রেলিয়ার কাছে পরাজিত হয় ভারত।