প্রায় ১০ বছর পর ‘ধূমকেতু’ ছবি দিয়ে পর্দায় ফিরেছেন টলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় জুটি দেব ও শুভশ্রী গাঙ্গুলী। দুজনের জন্য ভক্তদের ভালোবাসা যে এখনও একবিন্দুও কমেনি, সেটাই দেখা মিলেছে সিনেমা মুক্তির পর।
যদিও সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে দেবকে প্রশ্ন করা হয় এই সময় ‘ধূমকেতু’ হলে কি তিনি শুভশ্রীকে বেছে নিতেন নায়িকা হিসেবে? জবাবে দেব জানান, এখন আর সেই ইনোসেন্সটা নেই। দুই সন্তানের মা তিনি। গল্পে রূপার মধ্যে যে ইনোসেন্স দরকার তার জন্য এই চরিত্রে না ভাবলেও অন্য চরিত্রে নিশ্চয়ই ভাবতেন।
এমনকী দেব একথাও বলেন, তিনি ‘ধূমকেতু ২’ হোক চান না, কারণ এই চরিত্র এবং এই ছবিদের আর নতুন করে করে সৃষ্টি করা যাবে না।
তবে পরবর্তী এক সাক্ষাৎকারে শুভশ্রী জানান, এই কথাটি তার কাছে খুব অপমানজনক লেগেছে। এমনকী দেবের সঙ্গে আর ছবি করবেন কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে শুভশ্রী জানান, দুই সন্তানের মা হয়ে গেছেন তিনি, আগের মত ইনোসেন্স নেই, কীভাবে করবেন?
শুভশ্রীর সেই বক্তব্যের পর এবার আবারও মুখ খুলেছেন দেব। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় শুভশ্রী ভালোবাসা থেকেই এই কথাগুলো বলেছে, ভালোবাসা থাকলেই অভিমান হয়। তবে চরিত্রের বিষয়ে আমি শুধু শুভশ্রীকে নিয়ে বলিনি,আমার কথাও বলেছি। আমি সব সময় কোয়েল এবং ওর কথা বলি, যে সন্তান এবং সংসার সামলে তারা কী সুন্দর ইন্ডাস্ট্রিতে জায়গা করে নিয়েছে, কতজন পারেন এমন।’

এরপর দেব বললেন, ‘আমি কখনও ওকে অসম্মান করিনি আজও করব না। ১৪ বছর আগেও শুভশ্রী বলেছিল বাথরুমে গিয়ে কাঁদার কথা, আমি তখনও কিছু বলিনি। পুরো ছবিজুড়ে ওকে সুপারস্টারের মতোই ট্রিট করেছি। যখন আমার জন্য গান বানানো হয় হাউস থেকে ওর জন্যও গান বানানো হয়েছিল, আমি বানাতে বলেছিলাম। এমনকী স্পেশাল স্ক্রিনিংয়ের কথা যেদিন ঠিক হয় আমি ওকে প্রথম ফোন করে বলি এবং দ্বিতীয় ফোনটা করি রাজ চক্রবর্তীকে, যে তোমরা দু’জন এলে আমার ভালো লাগবে।’
দেবের কথায়, ‘শুধু তাই নয় আমি যখন জানতে পারি যে আমার কথা ওর খারাপ আমার লেগেছে, তখন ও মুম্বাইতে শুটিং করছে। আমি নিজে ফোন করে জানতে চাই যে ওর কিছু খারাপ লেগেছে কিনা, ও বলে সব ঠিক আছে।’
‘কোনওদিন ওকে নিয়ে কোনও খারাপ কথা বলার ব্যাপারে ভাবতেও পারিনা আমি, বলিওনি আর বলবও না। এগুলো কি সম্মান নয়? আমি কখনওই শেষটা খারাপভাবে করতে চাইনি।’
এরপর দেবকে জিজ্ঞাসা করা হয় তিনি কি শুভশ্রীকে আবার কাস্ট করার কথা ভাববেন? দেব অকপটে বলেন, “‘প্রযোজক হিসেবে অবশ্যই। কারণ প্রযোজকদের ইগো থাকতে নেই, তবে অভিনেতাদের ইগো থাকতে পারে।’