শেখ হাসিনার প্রথম লক্ষ্য— গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সুরক্ষা ও চর্চা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহারে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া ১২ বিষয় এবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে স্থান পেয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) রাতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন- ২০২৪ উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন।

তিনি বলেন, ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনাকে ধারণ করে দেশ পরিচালনায় যে সাফল্য আমরা করতে পেরেছি, তারই ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সাল থেকে স্মার্ট সোনার বাংলা গড়ে তোলার ইশতেহার ঘোষণা দিয়েছি।

এবারের ইশতেহারে জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে যে বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে; তার মধ্য থেকে যে কয়েকটি বিষয়ে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়েছি আমি তা আপনাদের সামনে উল্লেখ করছি—

১. সর্বস্তরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুরক্ষা ও চর্চার প্রসার করা।

২. দ্রব্যমূল্য সকলের ক্রয় ক্ষমতার আওতার মধ্যে রাখার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া।

৩. কর্মোপযোগী শিক্ষা ও যুব সমাজের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা।

৪. আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা।

৫. উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থা যান্ত্রিকীকরণ ও উৎপাদিত পণ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া।

৬. কৃষি পণ্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প গড়ে তোলা।

৭. গ্রাম পর্যায়ে পর্যন্ত অবকাঠামো এবং শিল্প কলকারখানা গড়ে তুলে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা।

৮. ব্যাংক বীমা ও আর্থিক খাতের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।

৯. নিম্ন আয়ের মানুষদের স্বাস্থ্য সেবা সুলভ করা।

১০. সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় সকলকে যুক্ত করে ব্যক্তি ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

১১. আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোকে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ করে গড়ে তোলা ও তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।

১২. সাম্প্রদায়িকতা ও সকল ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূল করা।

এমএসআই/এমজে