বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঢাকায় আরও পাঁচটি মামলা দায়ের হয়েছে। ঢাকার বাইরে হয়েছে আরও চারটি হত্যা মামলা।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) এবং বুধবার (২৮ আগস্ট) এসব মামলা হয়েছে।
মামলায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খানসহ দলটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের আসামি করা হয়েছে।
গত ১৮ জুলাই আসাদুল্লাহ নামের এক লেগুনাচালককে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় বুধবার শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে উত্তরা পূর্ব থানায় মামলা হয়।
সড়ক পরিবহন শ্রমিক দলের নেতা হাসান মাহমুদকে হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গত বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে এ মামলা করেন হাসান মাহমুদের স্ত্রী ফাতেমা।
যাত্রাবাড়ীতে মাসুদুর রহমান নামের এক যুবককে হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বুধবার যাত্রাবাড়ী থানায় এ মামলা রেকর্ড হয়েছে।
পোশাককর্মী জাকির হোসেনকে হত্যার অভিযোগে বুধবার শেখ হাসিনাসহ ১১৯ জনের বিরুদ্ধে আদাবর থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। মোহাম্মদপুরে শাহরিয়ার হোসেন নামের এক যুবককে হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। ঢাকার সিএমএম আদালত আজ মামলার অভিযোগ এজাহার আকারে রেকর্ড করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
খুলনায় শেখ হাসিনাসহ ৮৫ জনের নামে হত্যা মামলা করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। ২০২২ সালে বিএনপির এক কর্মীকে হত্যার ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে ফুলতলা থানায় মামলাটি করেন খুলনা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব এস এম মনিরুল হাসান।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর ঘিরে তিন বছর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষে জহিরুল ইসলাম নাম নিহতের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ৫৪ জনের নামে মামলা হয়েছে। বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় মামলাটি করা হয়। এতে অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার বাদী নিহত জহিরুল ইসলামের ভাই বাবুল মিয়া।
গাজীপুরের শ্রীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জাকির হোসেন রানা (৩৫) ও রহমত মিয়া (২০) নিহত হওয়ার ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ৯৬ জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে। বুধবার রাতে শ্রীপুর থানায় একটি মামলা করেন জাকির হোসেনের বাবা জামাল উদ্দিন। অন্য মামলাটি করেন রহমত মিয়ার বাবা মো. মঞ্জু মিয়া।