বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বড় অঙ্কের জরিমানার পরদিন দেশের পুঁজিবাজারে ধস নেমেছে।
বুধবার (২ অক্টোবর) ডিএসইএক্স সূচক কমে ১৩২ পয়েন্ট। ক্রেতা সংকটে ৮৭ ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দরপতন হয়েছে। দরপতনের ঘটনায় মতিঝিলে ডিএসই ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
শেয়ারের দাম নিয়ে কারসাজির দায়ে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। এ পরিস্থিতিতে বুধবার লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমার মধ্য দিয়ে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দরপতনের মাত্রা বাড়তে থাকে। দিনশেষে ১৩২ পয়েন্ট কমে ডিএসইর প্রধান সূচক।
সূচক কমলেও ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। মোট লেনদেন হয় ৪শ ৪০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। আগের দিনের চেয়ে লেনদেন বেড়েছে ৫১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।
হাতবদলে অংশ নেওয়া ৩৯৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর কমেছে ৮৭ ভাগ কোম্পানির শেয়ার। এর মধ্যে বেড়েছে ২৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর।
সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানের তালিকায় প্রথম গ্রামীণফোন, দ্বিতীয় লিন্ডে বিডি এবং তৃতীয় অবস্থানে ব্র্যাক ব্যাংক, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ, মালেক স্পিনিং।
শতাংশের দিক থেকে দর বৃদ্ধির তালিকায় প্রথম অবস্থানে দেশ গার্মেন্টস, দ্বিতীয় ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স, এবং তৃতীয় মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স। এদিকে, দরপতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে বিনিয়োগকারীরা। এ সময় দরপতনের জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি করেন তারা।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে সার্বিক সূচক কমেছে ৩০৬ দশমিক এক সাত পয়েন্ট। লেনদেন হয় ৫ কোটি ৯৬ লাখ টাকার শেয়ার।