শেরপুর সংবাদদাতা : শেরপুরে এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৪ উপলক্ষে প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হলরুমে সিভিল সার্জনের আয়োজনে এ প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শেরপুরে এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন কার্যক্রম শুরু হবে। এ কার্যক্রম চলবে চার সপ্তাহ ব্যাপী। কনফারেন্সে ক্যাম্পেইন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. আহসানুল হাবিব হিমেল। তিনি বলেন, জরায়ুমুখে ক্যানসার রোধে জেলার পাঁচটি উপজেলায় প্রায় ৮৭ হাজার ১০ থেকে ১৪ বছরের মেয়েদের এক ডোজ এইচপিভি টিকা দেয়া হবে। এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির কিশোরীদের জন্য পরিচালিত হবে।
এসময় সিভিল সার্জন ডা. জসিম উদ্দিন, প্রেসক্লাব সভাপতি কাকন রেজা, কার্যকরী সভাপতি রফিক মজিদ, সহ সভাপতি শাহরিয়ার মিল্টন, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাসান বাদল সহ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন। কনফারেন্সে আরো জানানো হয়, বৈশ্বিকভাবে সাধারণত নারীরা যেসকল ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তার মধ্যে জরায়ুমুখ ক্যান্সার বা সার্ভিকাল ক্যান্সার চতুর্থ সর্বোচ্চ। বাংলাদেশী নারীদের ক্ষেত্রে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০২০ সালের তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী প্রতিবছর বিশ্বে ছয় লক্ষাধিক নারী জরায়ুমুখ করসারে আক্রান্ত হন, যার মধ্যে প্রায় তিন লাখ নারী মৃত্যুবরণ করেন। এর প্রায় ৯০% বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল বা স্বল্লোন্নত দেশগুলোতে ঘটে থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ অনুযায়ী নিয়মিত পরীক্ষা (স্ক্রিনিং) এর পাশাপাশি এইচপিডি টিকাদানের মাধ্যামে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ এবং এই ক্যান্সারজনিত মৃত্যু হ্রাস করা সম্বব। ধারণা করা হচ্ছে, জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়িত না হলে ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বব্যাপী প্রায় সাত লাখ নারী জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হবেন যাদের প্রায় চার লাখ মৃত্যুবরণ করবেন এবং এর সিংহভাগই ঘাটবে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে।
নারীদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধের উপর গুরুত্ব আরোপ করে বাংলাদেশ সরকার সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচিতে এইচপিভি টিকা সংযোজন করেছে।