শেরপুর সংবাদদাতা : এবার শেরপুরে কোরবানির হাট কাঁপাবে শাহীওয়াল জাতের ১ হাজার ২৮০ কেজি ওজনের ষাঁড় গরু ‘লায়ন’। ৩ বছর ৭ মাস বয়সের শেরপুরের সর্বোচ্চ ওজনের এই ষাঁড় গরুটি সবার নজর কেড়েছে। গরুর মালিক শখ করে গরুটির নাম রেখেছেন ‘লায়ন’। গরুটির চালচলনে রয়েছে রাজকীয়ভাব। শেরপুর সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল মতিন ও ঝর্ণা বেগম দম্পতি নিজ বাড়িতে লায়নকে লালন পালন করেছেন। এই কৃষকের খামারে বিভিন্ন জাতের আরও ৪টি গরু রয়েছে। ষাঁড় গরুটি দেখতে আশপাশের জেলা থেকে আসছেন দর্শনার্থী ও ক্রেতারা। লায়নের দাম হাকা হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা। গৃহিণী ঝর্ণা বেগম জানান, মেয়ের জমানো ২২ হাজার টাকায় গাভি কেনার পর দফায় দফায় প্রজননে শাহীওয়াল জাতের বীজ থেকে গরুটি জন্ম নেয়। আব্দুল মতিন ও ঝর্ণা বেগম দম্পতির বড় ছেলে ও নাতি গরুটির দেখভাল করেন। প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ানো হচ্ছে লায়নকে। কাঁচা ঘাস ছাড়া শুকনো খড়, ভুসি, বিভিন্ন ফলমূলসহ প্রাকৃতিক খাবারে অভ্যস্ত লায়ন। শান্ত স্বভাবের লায়নকে লালন পালনে কোনো সমস্যা হয়নি। খোলামেলা ঘরে রাখা এবং প্রাকৃতিক খাবারের কারণে গরুটির জন্য ফ্যান ব্যবহার করতে হয়নি। প্রতিদিন প্রায় ৭শ টাকার খাবার দিতে হচ্ছে লায়নকে। মতিন-ঝর্ণা দম্পতির ছেলে মিলন জানান, প্রতিদিন ৩ বার গোসল করানো আর সময়মতো খাবার দিতে হয় লায়নকে। অনেক যতœ করে গরুটিকে নিজ সন্তানের মতো করে লালন পালন করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিনই লায়নকে দেখতে আসছেন ক্রেতারা। দরদামও করছেন। আবার কেউ শুধু এক নজর দেখার জন্যও আসছেন। শেরপুর সদর উপজেলার বাজিতখিলার গ্রামের ফজলু মিয়া জানান, এতো বড় গরু তিনি শেরপুরে আর দেখেননি। গরুটি দেখে তিনি দারুণ খুশি। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. পলাশ কান্তি দত্ত জানান, শেরপুর জেলায় লায়নই সর্বোচ্চ ওজনের ষাঁড় গরু। এর ওজন প্রায় ১ হাজার ২৮০ কেজি অর্থাৎ প্রায় ৩২ মণ।
শেরপুরে কোরবানির হাট কাঁপাবে ‘লায়ন’
