শেরপুরে পাহাড়ি ঢলে নিখোঁজ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার

শেরপুর সংবাদদাতা ; শেরপুরে পাহাড়ি ঢলের পানিতে ভসে আসা গাছ ও লাকড়ি ধরতে পৃথক নদীতে নেমে ¯্রােতের টানে নিখোঁজ শিশু হুমায়ুন (১২) ও কিশোর ইসমাইলের (১৭) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে হুমায়ুনের এবং গতকাল শুক্রবার ভোরে ইসমাইলে মরদেহ পৃথক স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় সূত্র জানায়, ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা তীব্র ¯্রােতে গত বৃহস্পতিবার নালিতাবাড়ীর চেল্লাখালী নদীতে পাহাড়ি ঢল নামে। ঢলের সঙ্গে পাহাড় থেকে ভেসে আসা লাকড়ি ধরতে দুপুরে বুরুঙ্গা ব্রিজের দক্ষিণ-পশ্চিম পাশ দিয়ে নদীতে নামে হুমায়ন ও তার চাচাতো ভাই আতিক হাসান। এসময় ¯্রােতের টানে ডুবে নিখোঁজ হয় হুমায়ন। খবর পেয়ে জামালপুর থেকে ডুবুরি দল এসে উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যায়। পরে রাত সাড়ে আটটার দিকে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে তার মরদেহ ভেসে ওঠে। পরে স্থানীয়রা হুমায়ুনের মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান। হুমায়ুন বুরুঙ্গ গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে এবং বুরুঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। এদিকে বিকেলে ঝিনাইগাতি উপজেলার ডাকাবর গ্রামের ঝালমুড়ি বিক্রেতা আব্দুল্লাহর কিশোর ছেলে ইসমাইল তামাগাঁও এলাকায় মহারশি নদীতে ভেসে আসা গাছ ধরতে নেমে নিখোঁজ হয়। গতকাল শুক্রবার ভোরে ঝিনাইগাতী সদর ব্রিজের পূর্বপাড়ে স্থানীয় এক কৃষক ঢল পরবর্তী তার ধানক্ষেত দেখতে যান। এসময় ওই ধানক্ষেতে ইসমাইলের মরদেহ পাওয়া যায়। নালিতাবাড়ী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহেল রানা বলেন, চেল্লাখালী নদীতে ডুবে নিখোঁজ হুমায়ুনের মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেছেন। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।