শেরপুরে বই পায়নি মাদরাসা ও কারিগরির শিক্ষার্থীরা

শেরপুর সংবাদদাতা : ২০২৫ শিক্ষাবষের্র প্রথম দিনে শেরপুরে প্রাথমিকের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সব বই পেলেও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া সম্ভব হয়নি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৫ আগস্ট পতিত আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ছাপানো জটিলতায় মাধ্যমিকে এখন পর্যন্ত চাহিদার ৪ দশমিক ২ শতাংশ বই এসেছে। প্রাথমিকে বই এসেছে ৫৩ শতাংশ। এছাড়া চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বই এখনো আসেনি। নতুন শিক্ষাবর্ষে দেরিতে বই পাওয়া নিয়ে অভিভাবকরা শঙ্কা প্রকাশ করলেও কর্তৃপক্ষ বলছে, যখন যে বই আসবে সেগুলো শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। জেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের দেওয়া তথ্য মতে, শেরপুরে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, মাদরাসা ও কারিগরিতে মোট শিক্ষার্থী ৩ লাখ ৪০ হাজার ২১৬ জন। ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে বইয়ের মোট চাহিদা ৩৩ লাখ ৮২ হাজার ৭৩৮টি। কিন্তু শেরপুরে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে এখন পর্যন্ত বই এসেছে ৫ লাখ ৭৩ হাজার। এছাড়া ১১৮টি মাদরাসার এবং ১৩টি কারিগরির কোনো বই আসেনি। শেরপুর প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য মতে, প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীীয় শ্রেণির পাঁচ উপজেলার সব বই আসলেও ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির কোনো বই আসেনি। এখন পর্যন্ত শেরপুর সদরে মাধ্যমিক স্কুলে ১০ম শ্রেণির তিনটি বিষয় করে ২২ হাজার ৮শ টি বই ও ৭ম শ্রেণির ২৪ হাজার ৩শ টি বই এসেছে। এছাড়া শ্রীবরদী উপজেলায় মাধ্যমিকে ১০ম শ্রেণির তিনটি বিষয়ের (বাংলা, গণিত,ইরেজি) ৯ হাজার ৮শ ৫২ টি বই, নকলা উপজেলায় ৭ম শ্রেণির তিনটি বিষয়ের (বাংলা, গণিত, ইংরেজি) ১৮ হাজার ৫১৬টি বই, নালিতাবাড়ীতে ৭ম শ্রেণির ১৯ হাজার ৫শ টি বই ও ঝিনাইগাতীতে ৭ম শ্রেণির ১০ হাজার ২শ টি বই এসেছে। শেরপুর জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয় ১ হাজার ৪৯৩টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৮১টি, মাদরাসা ১০৩টি ও ১৩টি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে । আরজু আহমদ নামে এক অভিভাবক বলেন, আমার মেয়ে নতুন কারিকুলামে নবম শ্রেণিতে পরীক্ষা দিয়ে দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছে। এবার বছরের মাথায় আবার এটি বাদ হয়ে আগের কারিকুলাম শুরু হচ্ছে। নতুন বছরে নতুন কারিকুলামে পড়তে হবে। আগে যে কোর্স দুই বছর পড়ে শেষ করতো ,এটা এবার একবছরে শেষ করে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। তার ওপর আবার এ বছরের শুরুতেই বই পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। এ প্রসঙ্গে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রেজুয়ান জানান, এবার আনুষ্ঠানিকভাবে বই উৎসব হয়নি। যেসব বই পাওয়া গেছে তা প্রতিটি উপজেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বাকী বইগুলো এলেই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হবে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল্লাহ আহমেদ জানান,মাধ্যমিকের মতো এবার প্রাথমিকেও এখনো শতভাগ বই আসেনি।