শেরপুরে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

শেরপুর প্রতিনিধি ; রাজনৈতিক পদ পরিবর্তনের সুযোগে এলাকার বিএনপি-জামায়াতসহ দুর্বৃত্তচক্র প্রভাবশালী মহলের শেল্টারে নিজ পরিবারসহ স্থানীয় নিরীহ লোকজনকে রোষানলে ফেলে হয়রানী করছে বলে অভিযোগ করেছেন সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার এডভোকেট বীর মুক্তিযোদ্ধা মুখলেছুর রহমান আকন্দ। তিনি ৩০ জুন রোববার বিকেলে শহরের পূর্বশেরী এলাকাস্থ নিজ বাসায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ওই অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ৭ জানুয়ারী স্থানীয় রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সুযোগে শহরের পূর্বশেরী ও অষ্টমীতলাসহ আশেপাশের বিএনপি-জামায়াতসহ স্থানীয় একটি দুর্বৃত্তচক্র প্রভাবশালী মহলের শেল্টারে তাকেসহ তার পরিবার এবং এলাকার নিরীহ লোকজনকে নানভাবে হয়রানী করছে। ইতোমধ্যে তারা তাকে নাজেহাল, অষ্টমীতলায় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা এবং ভাতিজা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এডভোকেট রাসেল রহমান আকন্দ ও ছানোয়ার হোসেন তুষারকে মারপিটে গুরুতর আহত করেছে। এছাড়া স্থানীয় মাহফুজা বেগমের বসতবাড়িতে হামলা ভাঙচুর করেছে। দুর্বৃত্তদের মধ্যে এক যুবদল নেতাসহ ২ জন দ্রুতবিচার আইনের মামলায় হাজতবাসে রয়েছে। অন্যদিকে ওইসব ঘটনাকে আড়াল করতে শনিবার এক মানববন্ধনের নামে তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসিবাহিনী লালন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা ফোরামের অবস্থান এবং অষ্টমীতলা মসজিদ, মাদ্রাসা ও কবরস্থান কমিটির সভাপতির পদ দখল করে রাখাসহ তার পুত্র কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মোর্শিদুর রহমান আকন্দের জেলহাজত খাটাসহ দখলবাজি ও চাঁদাবাজির মিথ্যা ও কাল্পনিক অভিযোগ তুলা হয়েছে। তিনি ওইসব অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যমূলক ও ষড়যন্ত্রমূলক হিসেবে আখ্যায়িত করে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ৭ জানুয়ারীর নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করায় এবং স্থানীয় ভোট কেন্দ্রে নৌকা প্রথম হওয়ার কারনেই প্রভাবশালী মহলের ইন্দনে এলাকার দুর্বৃত্তচক্র মিলে সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন ও ক্ষয়ক্ষতির হীন উদ্দেশ্যে তার পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। এজন্য তিনি প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাসহ সচেতন মহলের সুদৃষ্টি কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে অন্যনের মধ্যে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর নাসিরুল আলম নাহিদ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোর্শিদুর রহমান আকন্দ, এডভোকেট রাসেল রহমান আকন্দ ও ছানোয়ার হোসেন তুষারসহ স্থানীয় ভুক্তভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।