শেরপুর সংবাদদাতা : শেরপুরে সড়ক দূর্ঘটনায় আহত কলেজ ছাত্র তানজিম শাহরিয়ার প্রিতুল (১৭) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ফলে তার আর ময়মনসিংহ থেকে বাড়ি ফেরা হলোনা।
নিহত তানজিম শাহরিয়ার প্রিতুল শেরপুর শহরের রাজাবাড়ী মহল্লার বাসিন্দা এবং শেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট ইমাম হোসেন ঠান্ডুর তৃতীয় ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে, তানজিম শাহরিয়ার প্রিতুল ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ময়মনসিংহ নটরডেম কলেজে ভর্তি হয়। ওই কলেজ থেকে ট্রান্সফার লেটার নিয়ে শেরপুর সরকারী কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য প্রিতুল ও তার অপর বন্ধু মিশু ২১ জানুয়ারী শেরপুর আসছিলো। তারা বর্ডিং থেকে বিছানাপত্র নিয়ে সিএনজি অটোরিকসা যোগে শেরপুর আসার পথে কানাসাখোলায় একিট ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে সিএনজির চালকসহ প্রিতুল ও তার বন্ধু মিশু গুরুতর আহত হয়। আহত অবস্থায় তাদেরকে প্রথমে শেরপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে মিশুকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। প্রিতুলকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার আরো অবনতি হলে ঢাকার ধানমন্ডির বিআরবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেও অবস্থার আরো অবনতি হলে ১ ফেব্রুয়ারী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শুক্রবার ২ ফেব্রুয়ারী রাত সাড়ে দশটার সময় মারা যায় প্রিতুল। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এব্যাপারে প্রিতুলের বাবা অ্যাডভোকেট ইমাম হোসেন ঠান্ডু বলেন, আমার ছেলে ময়মনসিংহ থেকে বিদায় নিয়ে বাসায় আসছিলো। তারা আর বাড়ি আসা হলোনা। লাশ হয়েই এল সে। আমরা তার লাশ ময়না তদন্ত করাবোনা। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবগতি করানো হয়েছে। এ ব্যাপারে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক জানান, নিহতের স্বজনদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা লাশ বিনা ময়না তদন্তেই দাফন করবে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।