শেরপুরে শহীদ কামারুজ্জামানের শাহাদাত বার্ষিকী পালিত

শেরপুর প্রতিনিধি : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল শহীদ কামারুজ্জামানের ১০ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে শুক্রবার দিনের বিভিন্ন সময়ে কবর জিয়ারত, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শেরপুর শহর শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি হাফেজ মো. রাশেদুল ইসলাম। পৌর টাউন হল মিলনায়তনে শাখা সভাপতি মাওলানা নুরুল আমীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন জামায়াতের জেলা আমীর মাওলানা হাফিজুর রহমান, সাবেক সেক্রেটারি হাফেজ মাওলানা জাকারিয়া মো. আব্দুল বাতেন, কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আব্দুল আওয়াল, ডা. মো. আনোয়ার হোসাইন, উপজেলা আমীর মাওলানা আতাউর রহমান, নায়েবে আমীর মাওলানা নূর-ই-আলম সিদ্দিকী, সেক্রেটারী মাওলানা আব্দুস সোবহান, শহর সেক্রেটারী ডা. হাসানুজ্জামান, প্রভাষক জাহিদ আনোয়ার, ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি আশরাফুল ইসলাম মাসুম প্রমুখ। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, জামায়াতে ইসলামীর সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল ও সাপ্তাহিক সোনার বাংলা পত্রিকার সম্পাদক মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে আওয়ামী লীগ সরকার মিথ্যা ও সাজানো রাজনৈতিক মামলায় দলীয় লোকদের দিয়ে মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান করিয়ে ফাঁসির দন্ড দিয়েছিল। তাই তাঁর রেখে যাওয়া ইসলামী আন্দোলনের অসমাপ্ত কাজ আঞ্জাম দেওয়ার জন্য এবং এ দেশে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সবাইকে শরিক হওয়ার আহবান জানিয়ে বক্তারা আরও বলেন, বিশিষ্ট সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী, লেখক, গবেষক হিসেবে শহীদ কামারুজ্জামান ইসলামী আন্দোলনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন। যা ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের জন্য যুগ যুগ ধরে অনুপ্রেরণা যোগাবে। বক্তারা বলেন, বাতিলরা ভেবেছিল কামারুজ্জামানকে সরিয়ে দিতে পারলে ইসলামী আন্দোলন থমকে যাবে কিন্তু ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা মনে করে শহীদের রক্তের বিনিময়ে এ জমিন ইসলামের জন্য আরও উর্বর হয়। যারা কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে ফাঁসির রায় কার্যকর করেছিল তাদের সবাইকে বিচারের মুখোমুখি করার দাবী জানান বক্তারা। আলোচনা শুরুর আগে শহীদ কামারুজ্জামানের কবর জিয়ারত করেন নেতৃবৃন্দরা। কামারুজ্জামানের ১০ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে অনুরূপ কর্মসূচী পালন করে শহীদ কামারুজ্জামান ফাউন্ডেশন, এবি পার্টি, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও পেশাজীবী সংগঠন। উল্লেখ্য, ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক কতিপয় দলীয় কর্মী দ্বারা মিথ্যা স্বাক্ষী সাজিয়ে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের নামে এক প্রহসনের বিচারের মাধ্যমে ২০১৫ সালের ১১ এপ্রিল রাত ১০টা ৩০ মিনিটে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারি সেক্রেটারী জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়। পরে তাকে শেরপুর সদর উপজেলার বাজিতখিলা ইউনিয়নের শহীদ কামারুজ্জামানের প্রতিষ্ঠিত কুমরী ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা ও এতিমখানার পাশে কবর দেয়া হয়।