শেরপুর সংবাদদাতা : নদী-পাহাড় ধংসের হাত থেকে রক্ষা করতে শেরপুরের নালিতাবাড়ি ও ঝিনাইগাতী উপজেলার সবকটি পাহাড়ি নদীর বালুমহাল বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। শেরপুর জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। এদিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে এর বাস্তবায়ন চান স্থানীয় সচেতন মানুষ ও পরিবেশ বাদী সংগঠনের নেতারা । গত ৮ এপ্রিল শেরপুর জেলা প্রশাসকের সাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এর ধারা ৯(৪) অনুযায়ী ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের অনুমোদনের প্রেক্ষিতে শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ি ও ঝিনাইগাতী উপজেলা সকল বালুমহাল বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো। বালুমহাল গুলো হলো, নালিতাবাড়ি উপজেলার চেল্লাখালি নদীর উপর বাতকুচি, পলাশীকুড়া, নন্নী, তাজুরাবাদ, সন্যাসীভিটা মৌজা। ভোগাই নদীর উপর কালাকুমা, হাতিপাগার, নয়াবিল, ফুলপুর, মন্ডলিয়াপাড়া মৌজা। এছাড়াও ভুরুঙ্গা ও আন্ধারুপাড়া-বাইগরপাড়া- বুরুঙ্গা, আন্দারুপাড়া, বাইগরপাড়া মৌজা। অন্যদিকে ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশি-ডাকাবর নদীর উপর আন্ধারুপাড়া-বাইগরপাড়া, বাদেচল্লীশকাহনিয়া, বারুয়ামারি, হলদীগ্রাম, বাখরাবাদ মৌজা। পাগলারমুখ এলাকার বড় মালিঝিকান্দা, হাতিবান্দা, ঘাগড়া লষ্কর, পশ্চিম বেলতৈল মৌজা। এছাড়াও তাওয়াকুচা, বনগাঁও ও বাদেচল্লিশকাহনিয়া মৌজায়। এ ব্যাপারে শেরপুর জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, আমরা সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সাথে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করেছি। ইতোমধ্যে দুইটি উপজেলার নদী-পাহাড় রক্ষার্থে বালু উত্তোলন স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করে বালুমহাল বিলুপ্ত করা হয়েছে। এখন থেকে সকল বালু উত্তোলন অবৈধ। জেলা প্রশাসন বালু উত্তোলন বন্ধে কঠোর অবস্থানে থাকবে।
শেরপুর গারো পাহাড়ের বালুমহাল বিলুপ্ত ঘোষণা
