পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের উদ্বোধনী অধিবেশন শুরু হয়েছে গত সপ্তাহে। অধিবেশনের প্রথম দিনে ব্যাপক হট্টগোল আর বিক্ষোভের মাঝে শপথ নিয়েছেন পার্লামেন্টের নতুন সদস্যরা। এবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের পালা।
দেশটির জাতীয় পরিষদে রোববার (৩ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে ভোটাভুটি হবে। এতে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) প্রার্থী শেহবাজ শরিফের বিরুদ্ধে লড়বেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) ওমর আইয়ুব খান।
ওমর আইয়ুবকে এই পদে মনোনয়ন দিয়েছেন কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচনের জন্য বেলা ১১টায় (বাংলাদেশ সময় বেলা ১২টায়) নবনির্বাচিত জাতীয় পরিষদের অধিবেশন বসবে। এতে পিএমএল-এন সভাপতি শেহবাজ শরিফ পিটিআই-মনোনীত ওমর আইয়ুব খানের মুখোমুখি হবেন।
পিএমএল-এনের শেহবাজ একইসঙ্গে আট-দলীয় জোটের যৌথ প্রার্থী এবং তিনিই দ্বিতীয়বারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর এই দেশটির প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হতে চলেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
দ্য ডন বলছে, উভয় প্রার্থীই জাতীয় পরিষদ সচিবালয়ে তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। পরে যাচাই-বাছাই শেষে স্পিকার আয়াজ সাদিক উভয় পক্ষের নেতাদের উপস্থিতিতে মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন।
যদিও শেহবাজ শরিফের বিরুদ্ধে আপত্তি তুলেছিলেন পিটিআই নেতা ওমর আইয়ুব। তিনি বলেন, পিএমএল-এন নেতাকে নির্বাচনী কারসাজির মাধ্যমে জাতীয় পরিষদের এই আসনটি ‘উপহার’ দেওয়া হয়েছে।
এক টুইটে তিনি আরও বলেন, ফরম-৪৫ অনুযায়ী আসনটি হেরে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচনে লড়তে পারেন না এই সংসদ সদস্য। তাকে ভুলভাবে এমএনএ হিসেবে শপথ নিতে দেওয়া হয়েছে এবং তাই তিনি (শেহবাজ) প্রধানমন্ত্রী পদের প্রার্থী হতে পারবেন না।
যদিও ওমর আইয়ুব খানের এই আপত্তি খারিজ হয়ে যায়।
দ্য ডন বলছে, পিএমএল-এন ছাড়াও শেহবাজের পেছনে পিপিপি, এমকিউএম-পি, পিএমএল-কিউ, বিএপি, পিএমএল-জেড, আইপিপি এবং এনপির মোট ২০৫ সদস্যের সমর্থন রয়েছে। এছাড়া এমকিউএম-পি এবং পিপিপি থেকে নির্বাচিত জাতীয় পরিষদের দুই সদস্য এখনও শপথ নেননি।
হাউসের নেতা তথা প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হওয়ার জন্য ৩৩৬ সদস্যের হাউসে ১৬৯ সদস্যের ভোট প্রয়োজন শেহবাজের।