২৮ এপ্রিল রবিবার সকাল ১১টায়, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টির আহ্বায়ক এম এ আলীম সরকার এর সভাপতিত্বে সকল স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বরাদ্দ বাতিল ও রাজনৈতিক দল নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজীকরণের জন্য গণ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় এবং বিক্ষোভ প্রকাশসহ প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নিকট স্মরকলিপি পেশ করা হয়।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণ-সমাবেশে বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টির আহ্বায়ক এম এ আলীম সরকার তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি স্বাভাবিক নয়, বিকারপ্রাপ্ত। নির্বাচন অনুষ্ঠানও এমনভাবে হয়ে আসছে যে, এগুলোতে সুষ্ঠু স্বাভাবিক নির্বাচনের পরিচয় অল্পই থাকে। এই অবস্থার মধ্যে এসেছে স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি নির্বাচন। উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এসব নির্বাচনকে দলভিত্তিক নির্বাচনের প্রতীক নিয়ে করার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকারই তা করেছিল। এখন আওয়ামী লীগ সরকার ঘোষণা দিয়েছে স্থানীয় সরকার গঠনের জন্য দল ও দলীয় প্রতীক সংবলিত হবে না। দল ছাড়াই হবে। যদিও এ বিষয়ে সরকার সুস্পষ্ট কোনো বিধি-বিধান অদ্যবদি জারি করে নাই। নিতান্তই সরকারি দলের খুশিমতো নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। যদিও বিএনপি আগের মতই নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন সম্পন্ন করার দাবি তুলে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টি মনে করেন নির্বাচন কমিশনের অধিভুক্ত সব দলের সম্মিলিত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নির্বাচনী নীতিমালা আইন প্রণয়নের মাধ্যমে করা উচিত এবং সকল স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বরাদ্দ বাতিল করা উচিত। সেই সঙ্গে রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য জাতীয় সংসদ আসনের ১০% অর্থাৎ থানা, উপজেলা, জেলা ও মহানগরী সব মিলে ৩৫টি কমিটির মাধ্যমে রাজনৈতিক দল নিবন্ধন করার প্রস্তাব করেন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত সর্বোচ্চ বিশ হাজার টাকা, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত সর্বোচ্চ দশ হাজার টাকা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য শতকরা এক ভাগ (১%) ভোটারের স্বাক্ষর প্রথা বাতিল করা বাঞ্ছনীয়। এক্ষেত্রে এ বছর আগের মত না করে সরকারি দলের সুবিধা অনুযায়ী করলে তা জাতি ও রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর হবে। ক্ষমতাসীন দল যেহেতু অনেক বড় সেজন্যে ক্ষমতাসীন নেতৃত্বের দিক থেকে অনেক বেশি সৌজন্য ও উদারতা জনগণ আশা করে। আইনের শাসন প্রবর্তনের জন্য সরকারকে আইন অনুযায়ী আচরণ করতে হবে। সরকার স্বেচ্ছাচারী হলে আইনের শাসন বিঘ্নিত হবে। সরকারের আজ্ঞাবহ না হয়ে দেশের সর্বজনীন গণতন্ত্রের কথা বিবেচনা করে, সকল স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বরাদ্দ বাতিল ও ৩৫টি কমিটির মাধ্যমে রাজনৈতিক দল নিবন্ধন করার জন্যে নির্বাচনী আইন প্রণয়নের মাধ্যমে ঘোষণা করা হোক। গণ-সমাবেশ শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নিকট স্মারক লিপি প্রদান করেন।
আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য লেখক অমূল্য কুমার বৈদ্য, সোনার বাংলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হারুন-অর-রশিদ, দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলনের আহ্বায়ক হারুনুর রশিদ খান প্রমুখ।