সরকারের পরিবর্তন হলেও পরিবর্তন হয়নি দলীয় সরকারের চেয়ারম্যান মেম্বারদের চরিত্র

Oplus_131072

মোহাম্মদ আলী : দেশে একটি রক্তক্ষয়ী বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে সরকারের পরিবর্তন হলেও পরিবর্তন হয়নি দলীয় সরকারের চেয়ারম্যান মেম্বারদের চরিত্রের। তারা এখনো তেমনি আছেন যেমন ছিলেন আগে। ভূয়া প্রকল্প, প্রকল্পে নয়ছয়, নাম মাত্র কাজ করে প্রকল্পের সিংহভাগ আত্মসাৎ, নামে বেনামে ভিজিডি ও ভিজিএফ চাল উত্তোলন এবং ক্রয়বিক্রয় ইত্যাদি সবি চলছে আগের মতো! সামাল দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
জামালপুর জেলার ৭টি উপজেলার বেশ কয়েকটি উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে ২০২৪/২৫ অর্থবছরে চলমান টিআর কাবিখা ও কাবিটা প্রকল্পের কাজের মান এবং অগ্রগতি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহে সরেজমিন গেলে উপরোল্লেখিত তথ্যের সত্যতা মিলেছে ।
জানা যায়, গতবছর ৫ অগাস্টের পর জামালপুর জেলার ৭টি উপজেলার দলীয় সরকার সমর্থীত বেশিরভাগ ইউপি চেয়ারম্যান আত্মগোপন করেছেন। গ্রেফতার বা আটক হন ৩ উপজেলার ( জামালপুর সদর, মেলান্দহ, ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জ) কমপক্ষে ৮জন ইউপি চেয়ারম্যান। এছাড়া বেশকিছু ইউপি সদস্য। তাদের মধ্যে কেউ জামিনে ছাড়া পেলেও কেউ এখন আছেন জেলহাজতে। বাকীরা আছেন গ্রেফতার আতঙ্কে। এরপরেও পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি দায়িত্বরতদের কর্মকাণ্ডে। তাদের মনে ভয় বিরাজ করলেও বন্ধ হয়নি অনিয়ম দুর্নীতি!
জামালপুর সদর উপজেলার তুলশিরচর, বাঁশচড়া, দিগপাইত, মেলান্দহ উপজেলার চর বানিপাকুরিয়া, কুলিয়া, দুর্মুঠ, ইসলামপুর উপজেলার সাপধরি , বেলগাছা ও চরগোয়ালিনি ইউনিয়নে চলমান টিআর কাবিখা এবং কাবিটা প্রকল্পে ঘুরে ও প্রকল্প সভাপতি এবং এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে এসব ইউনিয়নের কোথাও কোথাও ভূয়া প্রকল্প, কাজে নয়ছয়, কাজের নামে সিংহভাগ অর্থ আত্মসাতের আলামত পাওয়া গেছে।
প্রকল্পগুলোর মেয়াদ অনুযায়ী সময় প্রায় অতিক্রান্ত হলেও কোনো কোনো প্রকল্পে এখনো হাত লাগেনি। কোনো কোনো প্রকল্পে দেখা গেছে হাটুপানি। কোথাও খানাখন্দ। কোথাও কোথাও আবার মাটির জায়গায় ফেলা হয়েছে বালু। তাও আবার প্রলেপ মাত্র। যা ভারি বর্ষণে ধুয়ে ও ধসে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে ওইসব প্রকল্প এলাকার মানুষ যাতায়াতের ক্ষেত্রে মারাত্বক দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। চেয়ারম্যান মেম্বারদের এমন অপরিবর্তনশীল মানসিকতার প্রতি ক্ষোভ নিন্দা প্রকাশ করেছেন তারা।
এছাড়া এবার কিছু কিছু ইউনিয়ন পরিষদের প্রকল্পে সভাপতি হয়েছেন, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা। এমন তথ্য স্বীকার করেছেন কতিপয় প্রকল্প সভাপতি ও ইউপি সদস্য। তারা জানান, তাদের নামে প্রকল্প চলছে তারা জানে না। আর সেই প্রকল্পের লভ্যাংশ নিচ্ছে বহিরাগতরা। যা স্থানীয় সরকার সংবিধান পরিপন্থী।