সহকারী মৌলভী শিক্ষক হাবিবুর রহমান জাল সার্টিফিকেটে চাকরি, মহাপরিচালকসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা : জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের মরাকান্দি নছিমুন্নেছা ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার সহকারী মৌলভী শিক্ষক হাবিবুর রহমান সুপার এনামুলকে মোটা অংকের ঘুষ দিয়ে ১২তম জাল শিক্ষক নিবন্ধন সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি নেয়। ১২তম শিক্ষক নিবন্ধন নিয়োগ ক্ষমতা সরকারের হাতে, কোন ইস্কুল বা মাদ্রাসায় কমিটি নিয়োগ দিতে পারবে না। সহকারী মৌলভী শিক্ষক হাবিবুর রহমানের (ইনডেক্স নং-০০৩৮৫৮৩) জাল শিক্ষক নিবন্ধন সার্টিফিকেটের রোল নং ৩১৪৩০৫৫৭ যা নেটে সার্জ দিলে দেখা যায় মোঃ হাবিবর রহমান। হাবিবর রহমান যোগদান করেছে গত ২৬.১২.২০১৫ সালে, অথচ সাটির্ফিকেট পেয়েছে ৪ র্মাচ ২০১৬ সালে। যাহা সর্ম্পন্ন ভূয়া। সহকারী মৌলভী শিক্ষক হাবিবুর রহমান জাল শিক্ষক নিবন্ধন সাটির্ফিকেটে লেখা শুধু হাবিবর রহমান অরিজিনাল সাটিফিকেটে লেখা মোঃ হাবিবুর রহমান। জামালপুর জেলা শিক্ষা অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হাবিবুর রহমান নামে ১২তম কোন শিক্ষক নিবন্ধন সনদ জামালপুর জেলায় বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) প্রদান করেন নাই। মোঃ হাবিবুর রহমানের সনদকে কম্পিউটারের মাধ্যমে জাল করে নিয়েছে হাবিবুর রহমান। এই সব ভূয়া শিক্ষক নিবন্ধন সাটির্ফিকেটে ১০ বছর যাবৎ সরকারি টাকা উত্তোলন করে আসছে।
মহাপরিচালক(অতিরিক্ত সচিব), মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর এবং চেয়ারম্যান(অতিরিক্ত সচিব) বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, ইসলামপুর উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের মরাকান্দি নছিমুন্নেছা ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার সহকারী মৌলভী শিক্ষক হাবিবুর রহমান সুপার এনামুলকে ১৫লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়ে জাল শিক্ষক নিবন্ধন সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি নেয়। সহকারী মৌলভী হাবিবুর রহমানের জাল শিক্ষক নিবন্ধন সার্টিফিকেটের রোল নং ৩১৪৩০৫৫৭ যা নেটে সার্জ দিলে দেখা যায় মোঃ হাবিবুর রহমান। হাবিবুর রহমান যোগদান করেছে গত ২৬.১২.২০১৫ সালে, অথচ সাটির্ফিকেট পেয়েছে ৪ র্মাচ ২০১৬ সালে। যাহা সর্ম্পন্ন ভূয়া। তার জাল শিক্ষক নিবন্ধন সার্টিফিকেটের দায়ভার নেয় সুপার এনামুল। মরাকান্দি নছিমুন্নেছা ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার সহকারী মৌলভী শিক্ষক হাবিবুর রহমান দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ জাল শিক্ষক নিবন্ধন সার্টিফিকেট দিয়ে মাদ্রাসায় চাকরী করে আসছে। সরকারকে ফাঁকি দিয়ে প্রতিমাসে সরকারি টাকা উত্তোলন করছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ মাদরাসার সহকারী মৌলভী শিক্ষক হাবিবুর রহমান শিক্ষকতার কোন যোগ্যতা নেই। সে দীর্ঘদিন যাবৎ জাল সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি করে আসছে। এই সব জাল শিক্ষক নিবন্ধন সার্টিফিকেট সহযোগিতা করেছে সুপার এনামুল। সে সব জানতো আমরা দুজনের শাস্তি দাবি করছি। এই দুর্নীতিবাজ ভূয়া জাল সাটিফিকেটের শিক্ষক হাবিবুর রহমান কিছুদিন বেতনভাতা বন্ধ থাকলেও ঘুষের বিনিময়ে সব ম্যানেজ করে পুনরায় বেতনভাতা উত্তোলন করে আসছে। এই জাল শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বিভিন্ন দপ্তরে।
এই বিষয়ে মুঠোফোনে সুপার এনামুল হকের সাথে একাধিক যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।